সম্প্রতি মৎস্য গবেষকদের অনুসন্ধানের চোখে ধরা পড়েছে এই মাছটি। বিরল এই মাছটিকে কেন্দ্র করে চলছে নানান গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই মাছটি বাংলা নাম ‘হিরালু বরালি’ বা ‘জইয়া’। এর ইংরেজি নাম Hamilton's Barila এবং বৈজ্ঞানিক নাম Barilius bendelisis। মাছটির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৫ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। এটি একটি বিরল প্রজাতির মাছ।
‘আমাদের দেশে এই ‘বরলি’ পরিবারের মধ্যে ৫টি প্রজাতির রয়েছে। আমরা ৩টির সন্ধান পেয়েছি। এই তিনটির মধ্যে ‘হিরালু বরালি’ প্রজাতিটি অন্যতম। ’
মাছটি শারীরিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এদের দেহ লম্বা ও চাপা। মুখ মাঝারি এবং চোয়াল লম্বা। পৃষ্ঠীয় পাখনার অবস্থান পায়ুপাখনার বেশ অগ্রে। নাসাগ্র অপেক্ষা পুচ্ছ পাখনার অতি নিকটবর্তী। আঁইশ মাঝারি, কালো কেন্দ্রবিন্দুযুক্ত। পার্শ্বরেখা বরাবর ৪০-৪৫টি আঁইশ রয়েছে। পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রে আঁইশের সংখ্যা ১৮-২০টি। ধুসরাভ রূপালি পৃষ্ঠ। পার্শ্বদেশে ৮-১২টি সবুজাভ রূপালি ডোরা রয়েছে। পার্শ্বরেখার গোলায় ২টি কালো দাগ রয়েছে। পাখনা কমলা আভাযুক্ত হলদে। পৃষ্ঠীয় ও পুচ্ছ পাখনার কিনারা ধুসরাভ। মাছটিতে লিঙ্গভিত্তিক বহুরূপীতা পরিলক্ষিত হয়। ’
মৎস্য অধিদফতরের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে এই ‘হিরালু বরালি’ মাছটি শুধুমাত্র সিলেটের জৈন্তাপুরেই পাওয়া গেছে। পাথরসমৃদ্ধ এলাকায় জলাভূতিগুলোতে এরা বসবাস করে। এটি সাধারণত সীমান্তবর্তী পাথর এলাকাবেষ্টিত নদীতে পাওয়া যায়। আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সীমান্তবর্তী নদীগুলোতে হয়তো পাওয়া যেতে পারে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
বিবিবি/এএটি
**দুষ্প্রাপ্য মাছ ‘কসুতি পুটি’
**বিরল প্রজাতির মাছ ‘ভট শিঙ্গি’