এক সকালে চোরাশিকারি-প্রতিরোধ বাহিনীর একটি কুকুর কিছু অস্বাভাবিকতার গন্ধ পায়। খোঁজাখুঁজি শুরুর একদিন পর সিংহের ক্যাম্পে মানুষের কঙ্কাল দেখতে পায় অনুসন্ধানী দল।
ঘটনাস্থলের আশপাশে ছড়িয়ে থাকা জিনিসপত্রের বেশিরভাগই বেআইনি। সাধারণত চোরাশিকারিদের ব্যবহার করতে দেখা যায় সেগুলো। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এরা চোরাশিকারি। জুতা এবং দস্তানার সংখ্যা হিসাব করে দেখা যায়, সংখ্যায় তারা ছিলেন তিনজন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওই সংরক্ষিত অঞ্চলের মালিক নিক ফক্স স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিহত ব্যক্তিদের সঙ্গে ছিল সাইলেন্সার যুক্ত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রাইফেল। তাছাড়া ওয়্যার কাটার এবং কয়েকদিনের পর্যাপ্ত খাবারও ছিল তাদের সঙ্গে। এসব আলামত বলে দেয়, তারা চোরাশিকারি এবং সম্ভবত গণ্ডারের শিং পাচারের উদ্দেশ্যেই তাদের এ অঞ্চলে আসা।
সিংহের আক্রমণ থেকে চোরাশিকারিদের দলের আর কেউ বেঁচে রয়েছে কিনা, তা জানার জন্য পরে হেলিকপ্টারে আশপাশের এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হয়।
গণ্ডার চোরাশিকার দক্ষিণ আফ্রিকার একটি চলমান সংকট। এখানে দুনিয়ার ৮০ শতাংশ গণ্ডারের বসবাস। ২০০৭ সালে বেআইনিভাবে মাত্র ১৩টি গণ্ডার মারা হয়, তবে ২০১৭ সালে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় হাজারের ওপরে।
গত সপ্তাহেই বেলা নামের একটি সাদা গণ্ডারকে গুলি করে মারা হয় মাত্র এক ইঞ্চি শিং সংগ্রহের জন্য। এর মাত্র এক সপ্তাহ আগেই চোরাশিকারিদের থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে বেলার শিং কেটে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। শাবককে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাগ্গা কাম্মা গেম পার্কে থাকতো বেলা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
এনএইচটি/এএ