বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ‘ওয়াইল্ড লাইফ’ পার্কের কর্তৃপক্ষ দাবি করে, সিংহের আক্রমণে বিপন্ন প্রায় ‘কালো গণ্ডার’গুলো মারা গেছে।
তবে প্রাণী সংরক্ষণবাদীরা এ ঘটনা উল্লেখ করে একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
দেশটির ওয়াইল্ড লাইফ মন্ত্রী নাজিব বালালা বলেন, ‘কালো গণ্ডার’ স্থানান্তরে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় কেনিয়া ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের নতুন বসতিতে লবণাক্ত পানিতে ভারসাম্য রাখতে ‘সল্ট পয়জনিং’ এর কারণে ‘কালো গণ্ডার’গুলোর অতিরিক্ত ধকল গেছে। এর ফলে বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীটি মারা গেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নাইরোবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেনারি প্যাথোলজির প্রফেসর পিটার গাথুমবি বলেন, প্রাণীগুলো ছিলো ক্লান্ত। এছাড়াও প্রাণীগুলো ডিহাইড্রেশনে ভুগছিলো। লবণাক্ত পানি পান করানোর ফলে আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
কেনিয়ার বিখ্যাত প্রাণী সংরক্ষণবাদী পাউলা কাহুমবু তার ফেসবুক পেজে এ ঘটনায় লজ্জা প্রকাশ করেছেন।
লাইফ মন্ত্রী নাজিব বালালা বলেন, কেনিয়ায় বিপন্ন প্রায় প্রাণটিকে টিকিয়ে রাখতে ওয়াইল্ড পার্কে স্থানান্তর প্রক্রিয়াকে কৌশল হিসেবে নেওয়া হয়েছে। ২০০৫ ও ২০১৭ সালে ১৪৯টি গণ্ডার স্থানান্তর করা হয়অ এদের মধ্যে মারা যায় মাত্র আটটি।
দেশটির প্রাণী সংরক্ষণবাদীরা বলছেন, শিং রফতানির জন্য প্রত্যেকবছর আফ্রিকা থেকে অনেক ‘কালো গণ্ডার’ মারা যাচ্ছে। ‘কালো গণ্ডার’কে বাঁচানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে।
ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের (ডব্লিউ ডব্লিউ এফ) মতে, বিংশ শতাব্দীতে বিস্ময়করভাবে ‘কালো গণ্ডারের’ সংখ্যা কমে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিকারিরা এদের মেরে ফেলেছে। ১৯৬০ থেকে ১৯৯৫ সালে এ প্রজাতির গণ্ডারের সংখ্যা ৯৮ শতাংশ কমে যায়।
জোহানেসবার্গ ভিত্তিক প্রাণী সংরক্ষণবাদীরা গত বছর বলেন, পুরো আফ্রিকায় এখন মাত্র ২৫ হাজার গণ্ডার রয়েছে। যার মধ্যে ‘কালো গণ্ডার’ রয়েছে মোট গণ্ডারের মাত্র ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এএইচ