এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী গবেষক ড. কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এক্ষেত্রে রাস্তার পাশে বড় সাইনবোর্ড দেওয়া যেতে পারে। সেখানে লেখা যেতে পারে, ‘বন্যপ্রাণী চলাচল এলাকা।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় নিশাচর বন্যপ্রাণীগুলো শীত মৌসুমে রাস্তার উপর চলে আসে। কারণ শীতকালে পাহাড়ি এলাকা থেকে পাকা রাস্তার অংশটি অপেক্ষাকৃত উষ্ণ থাকে। সেক্ষেত্রে তারা রাস্তার উপরই এসে স্বস্তি বোধ করে। গাড়ি যখন আসে তখন গাড়ির হেডলাইটের আলো বন্যপ্রাণীদের চোখে পড়ার ফলে তারা দিশেহারা হয়ে যায়। তখনই চাকার নিচে পড়ে তারা প্রাণ হারায়।
বন্যপ্রাণী গবেষক ড. কামরুল হাসান জানান, গাড়ির গতি নির্ধারণ করে সচেতনতামূলক কয়েকটি সাইনবোর্ড সাতছড়ির প্রবেশমুখে টাঙিয়ে দেওয়া হলে চালকেরা তা মেনে যদি গতিটা ধীর করেন তাতে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর হাত থেকে বন্যপ্রাণীরা প্রাণে বাঁচবে।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু মুসা শামসুল মুহিত বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে সাতছড়ি, লাউয়াছড়া প্রভৃতি জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণীদের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু রোধে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। দু-তিন মাসের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
প্রকল্পের কার্যক্রমগুলো হলো- ১. আন্ডারপাস ওয়ে’ অর্থাৎ কোনো কোনো রাস্তার মাঝখানে মাটির নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গপথ তৈরি করা। এছাড়াও প্লাস্টিক খুঁটির তার লাগিয়ে দেওয়া হবে। ২. কেনোপিওয়ে’ অর্থাৎ নেটের ছাউনি তৈরি করা। বানর, হনুমান প্রাণীগুলো রাস্তার উপর দিয়ে যাবে। ৩. প্রবেশমুখে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ০১ জানুয়ারি, ২০১৯
বিবিবি/আরআর