ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এবং উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, বিলম্বির ইংরেজি নাম Bilimbi এবং বৈজ্ঞানিক নাম Averrhoa bilimbi । এরা Averrhoaceae বা কামরাঙা পরিবারের উদ্ভিদ।
তিনি আরও বলেন, এটি টক জাতীয় ফল। ডাল এবং মাছের সঙ্গে অল্প পরিমাণে লম্বালম্বি কেটে রেঁধে খাওয়া যায়। এগুলো থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ার ফল। সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা এই জোনগুলোতে সম্ভবত বেশি পরিমাণে হয়। আমি ফেনী কিংবা উত্তরবঙ্গে দেখিনি। তবে এই ফলটি দেশের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে আস্তে আস্তে ছড়াচ্ছে।
গুণাগুণ সম্পর্কে এ গবেষক বলেন, এই ফলটির ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে। বিলম্বি ফল আবার বন্যপ্রাণীদেরও প্রিয় খাবার। বিশেষ করে টিয়াপাখিদের প্রিয় খাবার এটি। কাঠবিড়ালিরাও এই ফল খায়। তাছাড়া হরিণদের প্রিয় খাবার টক জাতীয় ফল। তাই এই ফলটি হরিণরা খুব পছন্দ করে। এছাড়াও আমলকি, আমড়া, জলপাই, হরিতকি, বহেড়া, কামরাঙা, অর বরই, জামরুল এসব ফলগুলো আমাদের বনাঞ্চলের হরিণদের প্রিয় থাবার।
‘কাণ্ডজুড়ে একেবারে গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত গাছের পুরো শরীরে ফুল আসে। তারপর ফল হয়। ফুল কোনোটা মিস হয় না, সবগুলো ফুলই ফলে রূপান্তরিত হয়। গাছভরে থোকা থোকা ঝুলে থাকে। দেখতে ভীষণ লাগে। সারাবছরই কিছু না কিছু ফল দেখা যায়, তবে শীত মৌসুমেই তাদের ফুল-ফল দেওয়ার যথার্থ সময়। ’
তবে এই বিলম্বি ফলটি বেশি পরিমাণে কখনোই খাওয়া যাবে না। কারণ এটিতে ‘ক্যালশিয়ার অগজালেট’ থাকে। যা মানবদেহের কিডনিকে বিকল করে দিতে পারে। এটা অবশ্যই ডোজ মেনটেইন করে বা পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে বলে জানান উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
বিবিবি/আরবি/