ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৯
টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন চলমান শৈত্যপ্রবাহ। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কখনও মৃদু কখনও মাঝারি কখনও আবার তীব্রতর হচ্ছে চলমান এই শৈত্যপ্রবাহ।

রাজশাহী বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের এক সপ্তাহের আবহাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জানুয়ারির শুরুতে রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২ জানুয়ারি ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৩ জানুয়ারি ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৪ জানুয়ারি ছিল ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ জানুয়ারি ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আর রোববার (৬ জানুয়ারি) রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাধারণত ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে বলা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে বলা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসেবে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে একটানা মৃদু এবং মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।   

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বলা হয়েছে চলতি সপ্তাহে রাজশাহীসহ দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে দুই থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর রাজশাহীর ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সময় এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পরে।

ফলে হিমালয় ছুয়ে আসা উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছেন পদ্মাপাড়ের ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষে করে পথের ছিন্নমূল মানুষগুলোর সীমাহীন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করেই শীত জেঁকে বসায় নিদারুণ কষ্টে দিন-রাত কাটছে তাদের। দুপুরে সূর্যের সোনালি রোদও বেশিক্ষণ উষ্ণতা ছড়াতে পারছেনা শীতার্ত এই মানুষগুলোর শরীরে।

সকালে পথের ধরে খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত তাড়াতে দেখা গেছে তাদের। আর নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মহানগরীর বিভিন্ন ফুটপাতে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকানগুলোতে। চলতি সপ্তাহে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে জানাচ্ছে শীতার্তরা।

মহানগীর ভদ্রা রেলওয়ে বস্তির লতিফা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আজ সকালেই একদল তরুণ কম্বল নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লোক বেশি থাকায় অনেকেই তা পায়নি। যাওয়ার সময় জানিয়ে গেছে তারা অবার আসবে। এরপর কেউ আসেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।