ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

প্লাস্টিক-পলিথিন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আইন সংশোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
প্লাস্টিক-পলিথিন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আইন সংশোধন বক্তব্য রাখেছেন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন

ঢাকা: বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিক-পলিথিন অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। এটা জাতির ক্ষতি করছে। এর অপব্যবহার বাংলাদেশে রোধ এবং নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের দায়িত্ব। 

পলিথিন-প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক দিকটা মানুষের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রয়ারি) দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতর, বিশ্বব্যাংক, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে ‘সাসটেইনেবল মানেজমেন্ট অব প্লাস্টিক টু লিভারেজ সার্কুলার ইকোনমি অ্যান্ড এচিভ এসডিজি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।



মন্ত্রী বলেন, প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবস্থাপনার জন্য সারাদেশে যুগপৎ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনা ও পাইলট প্রকল্পসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে জনগণকে করে তুলতে হবে সচেতন।  

সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর ৪ লাখ টনের বেশি প্লাস্টিক সমুদ্রে ফেলা হচ্ছে। এতে করে প্রতি মিনিটে ১ ট্রাক প্লাস্টিক আবর্জনা সমুদ্রে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বের ৮০ থেকে ১২০ মিলিয়ন ডলার প্লাস্টিক সামগ্রী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। বেঁচে থাকতে হলে আমাদের প্লাস্টিকের পণ্য বর্জন করতে হবে। বর্ষার মৌসুমে শহরে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ পলিথিন। আমাদের দরকার সামাজিক সচেতনতা। একদিনে আমাদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে না। ধীরে ধীরে আমাদের অভ্যাস বদলাতে হবে।

এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এমএমআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।