বুকে ও গলায় রয়েছে ফিকে বাদামি দাগ এবং পা মেটে-হলুদ। দিনের যেকোনো সময় গাছের ডালে বসে সঙ্গীর আহ্বানে উচ্চস্বরে ‘কে-কে-কে’ ধ্বনিতে ডাকে।
এ পাখিটিকে ‘সাতভাই ছাতারে’ ছাড়াও ‘সাত ভায়লা’, ‘ছাতারে’, ‘বন-ছাতারে’ প্রভৃতি নামে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এর ইংরেজি নাম Jungle Babbler এবং বৈজ্ঞানিক নাম Turdoides striata।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীস্থ শতবছরের বিভাগীয় রেলওয়ের শতবর্ষী কড়ি গাছ, রফতানি-প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা ঈশ্বরদী ইপিজেডের এলাকায় দেখা মেলে এ পাখির।
সাধারণত এই পাখিরা একসঙ্গে ছয়-সাতটি দলবেধে ঘুরে বেড়াই। এ দলে ছয় ভাই, আর একটি বোন থাকে। এরা বিভিন্ন পোকামাকড়-কীটপতঙ্গ খেয়ে বাঁচে। তবে এরা শুকনো কোনো ফল, খেঁজুরের রসের প্রতি আসক্ত বেশি। সাধারণত সাতভাই ছাতারে বাংলাদেশ ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে বেশি দেখা যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ের বন্যপ্রাণী প্রজনন ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যাপক আ.ন.ম আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সাতভাই ছাতারে দেশের বহুল দৃশ্যমান আবাসিক পাখি। নানা জাতের পাকা ফল এবং বিভিন্ন কীটপতঙ্গ তাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে। গাছের ডালে দিনব্যাপী ঘুরে ঘুরে তারা খাবার সংগ্রহ করে।
তিনি আরও জানান, প্রজনন মৌসুমে এরা যুগলবন্দি হয়ে তিন থেকে চারটি করে নীল রঙের ডিম পাড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
বিবিবি/এসএইচ/এনটি