বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জের সংকটাপন্ন সুতাং নদী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের প্রতিনিধিদল।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ সব সচেতন মহল নদী সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই নদীর পানি গাঢ় কালো হয়ে আছে। অসহনীয় দুর্গন্ধের ভেতর দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। অপরিকল্পিত বর্জ্য নিষ্কাশনের কারণে কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন ওইসব গ্রামের প্রায় লাখ মানুষ। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র বিধ্বংসী ও দূষণের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন এলাকার জনগণ। ক্রমাগত দূষণের ফলে সুতাং নদী পাড়ের গ্রামগুলোতে চরম পরিবেশ ও মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক বরাবরে হবিগঞ্জের খোয়াই, পুরাতন খোয়াই, সুতাং, সোনাই নদীসহ অন্যান্য নদী সংরক্ষণের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাপা হবিগঞ্জ ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার। জেলা প্রশাসনের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল।
এ ব্যাপারে আতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল বাংলানিউজকে বলেন, পুরাতন খোয়াই নদীকে ঘিরে ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পুরাতন খোয়াই নদী পুনরুদ্ধার, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য প্রকল্প করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
শিল্প বর্জ্য দূষণরোধসহ অন্যান্য নদী রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- বাপার হবিগঞ্জের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, তাহমিনা বেগম গিনি, সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল, অ্যাডভোকেট বিজন বিহারী দাস, ডা. আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, আমিনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, ইফতেখার হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
জিপি