ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

হাতিমারা চা বাগানে ফের বন্যপ্রাণী শিকার 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
হাতিমারা চা বাগানে ফের বন্যপ্রাণী শিকার  হাতিমারা চা বাগানের অবৈধ বন্যপ্রাণী শিকার। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: হাতিমারা চা বাগানে ফের শুরু হয়েছে বন্যপ্রাণী শিকার। সম্প্রতি একটি বন্যশূকরকে নৃংশসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে এই অবৈধ কার্যক্রমের পাওয়া গেছে সুস্পষ্ট প্রমাণ। এর আগে বিপন্ন বনরুই হত্যার ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায় একই বাগান থেকে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৩ মার্চ) গভীর রাতে হাতিমারা চা বাগানে বন্যশূকরটি মারতে তীর ছোড়া হয়। তীরের আঘাতে মারাত্মকভাবে জখম হওয়া বন্যশূকরটি আশ্রয় নেয় পাহাড়ে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) হাতিমারা চা বাগানের ধনঞ্জন চৌহান ও তার দল মাটিতে রক্তের দাগ পড়ার চিহ্ন দেখে পার্শ্ববর্তী রিসিং পাহাড়ে গিয়ে আহত বন্যশূকরটিকে খুঁজে বের করে ধারালো দা দিয়ে গলা আলাদা করে হত্যা করে।   

সূত্র আরো জানায়, ‘ফিনলে চা’ কোম্পানির হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার একটি চা বাগান হাতিমারা। চা বাগানে একদল সংঘবদ্ধ চক্র প্রায়ই রেমাকালেঙ্গা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকার করেন। এই চক্রের মূল হোতা ধনঞ্জয় চৌহান। ধনঞ্জয় হাতিমারা চা বাগানের সর্দার। তার নেতৃত্বেই ওই এলাকায় শিকারগুলো হয়।  

এ রকম একটি শিকারের ঘটনা ঘটে ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর। সেদিন দুপুরে পৃথিবীব্যাপী মহাবিপন্ন ‘বনরুই’ ধরে হত্যা করার ছবি এবং ভিডিওচিত্র বাংলানিউজের হাতে এসে পৌঁছলে ‘পাচারের জন্য মহাবিপন্ন ‘বনরুই’ হত্যা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  

সেই সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে ৫ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার দুপুরে বন্যপ্রাণী আইনের আওতায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর ০৮২০১৮, তারিখ ৪/১২/২০১৮। এরপর কিছুদিন হাতিমারা চা বাগান ও রেমাকালেঙ্গার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে শিকার বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয় ধনঞ্জয় চৌহানের নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে বন্যপ্রাণী শিকার।  

১৪ মার্চ এই বন্যশূকর হত্যাটিকে অবৈধভাবে হত্যা করা হয়েছে।  

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিলেট বন বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বন্যপ্রাণী শিকারি ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এ ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯ 
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।