দুর্বল দূরবীক্ষণে চোখ রাখতে না রাখতেই এক মিনিটের মধ্যেই উড়াল। বাসায় ফিরে ফিলগাইড বের করে পাখিটার সঙ্গে প্রথম পরিচিত হই কয়েক বছর আগে।
এ পাখিটির নাম ‘নীল শিসদামা’। ইংরেজি নাম Blue Whistling-thrush এবং বৈজ্ঞানিক নাম Myophonus caeruleus।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বাংলানিউজকে বলেন, এরা মাঝারি আকারের পতঙ্গভুক পাখি। এদের ঠোঁট চাপা এবং শক্ত। মাঝে মধ্যে দেখা মেলে, সব সময় নয়। এরা আমাদের দেশের বিরল পরিযায়ী পাখি।
শারীরিক বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরা আকারে আমাদের কাক’র মতো। প্রায় ৩৩ সেন্টিমিটার। এদের শরীর কালচে-নীল রঙের। তবে সারা শরীরে হালকা রূপালী রঙের তিলা রয়েছে। চঞ্চু (ঠোঁট) হলুদ। এদের পা কালো রঙের এবং চোখের রং কালচে বাদামী। ছেলে এবং মেয়ে পাখিটির চেহারা অভিন্ন।
এরা খুব সকালে এবং সন্ধ্যা নামার আগ মুহূর্তে খুব বেশি কর্মচঞ্চল থাকে। কেঁচো, শামুক, কাঁকড়া, ব্যাঙ, লার্ভা, পানি বা ছড়ার পোকা, পাকা ফল এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বলে জানান ইনাম আল হক।
পাখিটির স্বভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, এরা বাঁশির মতো সুর করে গান গাইতে পারে। নীল শিসদামা সাধারণত বনের স্রোতধারা, নদী ও বৃক্ষঢাকা অঞ্চলে ঘুরে বেড়ায়। পাহাড়ি জলধারের কাছে ভূমিতে ঝরাপাতা উল্টে খাবারের সন্ধান চালায়। এছাড়াও নরম মাটি চঞ্চু দিয়ে খনন করে এবং অগভীর পানিতে ঠোঁকর মেরে শিকার ধরে খায়।
ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন, তিব্বত, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়ায় এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে বলে জানান প্রখ্যাত পাখিবিদ ইনাম আল হক।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
বিবিবি/এএটি