শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে মনু মিয়ার বসতবাড়ি থেকে গন্ধগোকুলগুলো উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে ইছাখালি গ্রামের মনু মিয়া বাড়িতে থাকা আলমারি খুলতে গেলে গন্ধগোকুলের চারটি বাচ্চা ও মা গন্ধগোকুল দেখতে পান।
খাঁচার ভেতরে থাকা বাচ্চাগুলো বাঁচাতে মা গন্ধগোকুলটি আসা মাত্রই ফাঁদে আটকা পড়ে যায়। বিষয়টি জানতে পরে শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন গ্রামের অসংখ্য মানুষ প্রাণীগুলো দেখতে ছুটে আসেন ওই বাড়িতে।
এলাকাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সিরাজুল, জাকারিয়া, রাজিবের বাড়িসহ অনেকের বসতবাড়ি থেকে কবুতরের বাচ্চা, হাঁস মুরগির ডিমসহ রান্না ঘরে ঢুকে শাক-সবজি খেয়ে ফেলতো প্রাণীটি। এটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। অনেক দিন ধরে ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছিলো প্রাণীটিকে ধরতে। কিন্তু ধরা যাচ্ছিল না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা ইয়াছমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ধরা পড়া গন্ধগোকুলগুলো উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদফতর এগুলোকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছে।
এটা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মধ্যে একটি প্রাণী। এর সংরক্ষণ করা আমাদের উচিত বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০ ২০১৯
জিপি