সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নেমে দাঁড়িয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সিলয়াসে।
বিকেলের সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলার পর বেড়েছে ভ্যাপসা গরমের তীব্রতা। ফলে কর্মজীবী ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেগুলোর জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে লবণ ও পানি বের হয়ে যাচ্ছে শরীর থেকে। সাধারণ মানুষ স্যালাইন, ডাব, আখের রস ও বেশি বেশি পানি পান করে শরীরের আদ্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। এর পরও শরীর পানিশূন্য হওয়ায় অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরে বিকেল সোয়া ৪টায় সে তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটিই হলো আজকের দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এরপর থেকে তাপমাত্রা আবার নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। ফলে সোমবারের তীব্র তাপপ্রবাহ এখন মাঝারিতে রূপ নিয়েছে। কিন্তু তাপমাত্রা কমলেও গরমের প্রকোপ কমেনি৷ একটানা ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত এ তাপমাত্রা উপশমের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে রাজিব খান বলেন, মঙ্গলবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ এবং দুপুর ৩টায় ৪৯ শতাংশ। ফলে সোমবারের তাপমাত্রা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ছিলো বলে জানান রাজীব খান।
এদিকে, ঢাকা আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/