আর এ কাজটি করেছেন বন্যপ্রাণীপ্রেমী স্থানীয় ভৈরবগঞ্জ বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ফণিভূষণ রায় চৌধুরী।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গলের মাস্টারপাড়া আবাসিক এলাকায় ফণিভূষণ রায় চৌধুরীর বাসায় ৫টি বিপন্ন ছোট বাঘডাশের ছানা শিশুদের হাতে ধরা পড়ে।
খবর পেয়ে ফণিভূষণ ছোট বাঘডাশের ছানাগুলো উদ্ধার করে নিজের কাছে রাখেন। তিনি বলেন, ছানাগুলোর বিষয়ে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি যেখান থেকে ছানাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে রেখে আসার পরামর্শ দেন। পরে ছানাগুলো সজল দেবের পরামর্শে স্থানে রেখে আসি। পরে মা বাঘডাশ এসে ছানাগুলো নিয়ে যায়।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বাংলানিউজকে বলেন, ছানাগুলো খুব ছোট। তাই যে স্থান থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে রেখে দিলে মা বাঘডাশ এসে নিয়ে যাবে। তাতে এই ছানাগুলো প্রকৃতিতে বেঁচে যাবার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এভাবেই বন্যপ্রাণীদের রেসকিউ করে থাকি।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী বিশারদ ড. মনিরুল এইচ খান বাংলানিউজকে বলেন, এগুলো ‘ছোট বাঘডাশ’ এর ছানা। ইংরেজি নাম Small Indian Civet। এরা নিশাচর এবং বৃক্ষচারী প্রাণী।
‘এ প্রাণীটি আমাদের পরিবেশের জন্য উপকারী। তাদের আবাসস্থল এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হওয়ার কারণে বর্তমানে অবস্থা বিপন্ন,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২১১ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
বিবিবি/এমএ