উপমা থেকে নামকরণ হয়েছে এ ফলটির। মাকালের আদি নাম ছিল ‘মহাকাল’।
টকটকা লাল ফল মাকাল। উদ্ভিদটি ওষুধি গুণাগুণসম্পন্ন হলেও বিপন্ন প্রকৃতিতে তার অস্তিত্ব আরও সংকটে। প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এ লতানো উদ্ভিদটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, ‘মাকাল’ হচ্ছে একটি উপমা। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে কিছু উপমা তৈরি করেছেন, মানুষকে সচেতন করার জন্য। মাকাল ফল হলো সেই উপমা। অর্থাৎ চকচক করলেই সোনা হয় না। শুধু চককের দিকে তাকালে হবে না, এর কোয়ালিটির দিক আগে দেখতে হবে। এই উপমার জন্যই মাকাল নামকরণ। মাকাল ফলের বাইরের দিক সুন্দর হলেও ভেতরটা দেখতে অসুন্দর।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ওষুধি গাছ। মাকাল এখন বাংলাদেশে খুবই কম; নেই বললেই চলে। এ ফুলের আদি নিবাস তুর্কি। আমাদের দেশে একসময় প্রচুর ছিল। এ উদ্ভিদটি লতা জাতীয় হলেও এরা বড় গাছে আশ্রয় করে বেঁচে থাকে। যেহেতু বড়গাছ প্রায় নেই বললেই চলে, তাই তাদের সংখ্যাও কমে গেছে। এ লতানো উদ্ভিদটি সব সময় হাতের নাগালের বাইরে থাকে।
ফলের স্বাদ ও তুলনামূলক পার্থক্য উল্লেখ করে ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ফলটি তেতো জাতীয়। ফলের ভেতরের রংটার সঙ্গে উপরের রঙের কোনো প্রকার সামঞ্জস্যতা নেই। ভেতরের পচা রঙের সঙ্গে উপরের সুন্দর লাল টকটকা রঙের কোনো মিল নেই। বাইরের রং এতো সুন্দর যে, মানুষ এটা দেখে আকৃষ্ট হয়।
মাকাল ফলটি আমাদের সমাজের চমৎকার উদাহরণ। সমাজে তো আমাদের অনেক সুন্দর মানুষ আছেন, শুধু তাদের সৌন্দর্য দেখলেই হবে না, তাদের গুণগুলোও যাচাই করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ড. জসীম।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
বিবিবি/এএ