সোমবার (১১ নভেম্বর) এয়ারওয়েজটির এক কর্মচারীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এয়ারলাইনগুলোতে ‘ফুয়েল ট্যাংকারিং’ একটি নিয়মিত ঘটনা।
এ পদ্ধতির জন্য প্রতি বছর ১৮ হাজার টন বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, যা বড় একটি শহর থেকে নিঃসরিত কার্বনের সমান।
বিএ জানায়, কাজের সুবিধা, নিরাপত্তা ও দামের কথা বিবেচনা করে প্লেনে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন খুব সাধারণ একটি ব্যাপার।
গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি পাঁচটি ইউরোপিয়ান ফ্লাইটের একটিতে ফুয়েল ট্যাংকারিং করা হয়। এ কারণে প্রতিবছর যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরিত হয়, তা এক লাখ জনবসতির একটি শহর থেকে নিঃসরিত গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণের সমান।
এয়ারলাইনগুলো বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা কার্বন নিঃসরণ কমাতে কাজ করছে। কিন্তু, ফুয়েল ট্যাংকারিং তাদের এই দাবির পক্ষে যায় না মোটেও।
পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা গ্রিনপিস ইউকে’র নির্বাহী পরিচালক জন সাউভেন বলেন, নিজেদের বাসস্থান পৃথিবীর চেয়ে আর্থিক লাভকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার একটি উদাহরণ এটি। তাই করপোরেটদের স্বেচ্ছায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর মিথ্যে আশ্বাসে বিশ্বাস রাখা উচিত নয়। বিমানসংস্থাগুলোর কার্বন নিঃসরণ কমাতে আমাদের কঠোর বিধিনিষেধ দরকার। কারণ, পরিবেশদূষণের মাধ্যমে আর্থিক লাভ হলে তারা এ কাজ করতেই থাকবে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মালিক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপের (আইএজি) দাবি, তারা পরিবেশ রক্ষার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম এয়ারলাইন। এমনকি প্লেনের ওজন কমাতে তারা ফ্লাইটের ম্যাগাজিনগুলোও হালকা কাগজে তৈরি করে।
বিবিসি জানায়, ফুয়েল ট্যাংকারিংয়ের মাধ্যমে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্লেনগুলোতে অতিরিক্ত ছয় টন জ্বলানি ভরা হয়। ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় জ্বালানির দামে পার্থক্য থাকায় এভাবে তাদের অনেক টাকা সাশ্রয় হয়।
এয়ারওয়েজের ওই কর্মচারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে কাজ করছি, এ নিয়ে আমি গর্বিত। কিন্তু, সত্যি বলতে, ফুয়েল ট্যাংকারিংয়ের ঘটনায় আমি দুঃখিত ও অসন্তুষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এফএম