শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে মেলার উদ্বোধন করেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন আব্দুল জব্বার হাওলাদার।
প্রজাপতিকে পরিচিত করে তুলতে এবং সংরক্ষণের লক্ষ্যে এবারের মেলাতে নানান কর্মসূচি রাখা হয়েছে বলে জানান মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, প্রজাপতি রক্ষার মাধ্যমে প্রকৃতি রক্ষার যে আহ্বান, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এদের রক্ষার মাধ্যমে প্রকৃতি রক্ষা পাবে। অন্যথা আমাদের সবকিছু হারিয়ে যাবে। প্রজাপতিকে ভালো না রাখলে পরিবেশ ঠিক থাকবে না। পরিবেশ ঠিক রাখতে হলে প্রজাপতিকে বাঁচিয়ে রাখবে। প্রজাপতি শুধু সৌন্দর্যের ব্যাপার নয়, বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রজাপতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আইসিইউএন’র সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রজাপতি একক কোনো জীবন নয়। প্রজাপতি এই পরিবেশের সঙ্গে মিশে থাকে। সুতরাং এই পরিবেশ না থাকলে প্রজাপতিও থাকবে না। যেখানেই উন্নয়ন হয় সেখানেই প্রথম বলিদান হয় বৃক্ষ। এটা যেন না হয়। একটা বনের উপাদান যেমন বৃক্ষ, বিভিন্ন প্রাণী ঠিক তেমন একটি সুস্থ বনের নির্দেশিকা হলো প্রজাপতি। যে বনে যত বেশি প্রজাপতি থাকবে, সেই বন তত বেশি সুস্থ। ’
প্রজাপতি মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার, অধ্যাপক সাদিয়া আহমদ, পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এএসএম জহির উদ্দিন আকন্দ, কিউটের ব্যবস্থাপক মাতলুব আক্তার প্রমুখ।
এবারের মেলায় প্রজাপতি বিষয়ক গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এমএ বাশারকে ‘বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এবং সবুজবাগ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অরুণাভ ব্রুণোকে ‘বাটারফ্লাই ইয়াং এন্থুসিয়াস্ট’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এসএ/