শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণীগুলোর এই অবস্থা দেখা যায়।
বছরের অন্য সময় চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোকে বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গি এবং হাঁকডাকের মাধ্যমে আগত দর্শনার্থীদের বিনোদন দিতে দেখা যায়।
জলহস্তির নামের সঙ্গেই জুড়ে আছে তার পরিচয়। পানিতে না নামলে জলহস্তির যেন স্বস্তি মেলেই না। শীতের কারণে সেই জলহস্তিকেই এখন দেখা যায় ডাঙ্গায় অলস সময় কাটাতে। যে সিংহ সারাক্ষণ তার কেশর ফুলিয়ে হুঙ্কার দিয়ে দর্শনার্থীদের মাতিয়ে রাখে সেই সিংহকে দেখা যায় চুপচাপ বসে থাকতে।
চিড়িয়াখানার অধিকাংশ পাখিকে দেখা যায়, ওড়াওড়ি নয় বরং শরীরের লোম ফুলিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে তারা। তৃণভোজী প্রাণীগুলোর বেশিরভাগ ঠাণ্ডার কারণে ঠায় দাঁড়িয়ে কিংবা বসে রয়েছে।
চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের সবসময় এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত দৌড়োদৌড়ি হুড়োহুড়ি করে বিনোদন দেয় হরিণ। তবে শীতের কারণে হরিণগুলোকে একে অপরের গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে নিজেদের শরীর গরম রাখার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
চিড়িয়াখানার কুমিরগুলোকেও পানিতে পাওয়া গেল না খুঁজে। পানির বদলে কুমিরগুলো ডাঙ্গায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। সাপগুলো কুণ্ডলি পাকিয়ে একে অপরের শরীরের সঙ্গে লেপ্টে রয়েছে।
তীব্র শীতের কারণে অন্য প্রাণীগুলোর অবস্থাও কাহিল। এই সময়েও দর্শকদের বিনোদন দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে বানর। শীতের কারণে কষ্ট হলেও একটুও কমেনি তার বাঁদরামি। শীতের এ সময়ে অধিকাংশ দর্শনার্থীর ভিড় বানরের খাঁচা ঘিরেই।
শীতকালে চিড়িয়াখানার বন্য প্রাণীদের যত্ন এবং খাবারের বিষয়ে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালে প্রাণীদের কষ্ট লাঘবের জন্য তৃণভোজী প্রাণীর থাকার জায়গায় খড় বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন শীত কম লাগে। মাংসাশী প্রাণীদের শীতকালের জন্য মাংসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যেসব প্রাণীর শীতকালে বিভিন্ন ধরনের স্কিন ডিজিজ হয় তাদের ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
আরকেআর/এইচএডি/