বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল থানায় গিয়ে দেখা যায়, বিশালাকৃতির গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল থানা সূত্র জানায়, অর্ধশতাধিক গাছ কাটা হয়েছে।
ইতোমধ্যে বড় বড় গাছের কেটে ফেলা অংশ টানার জন্য এসে পড়েছে বিশালাকৃতির হাতি। উৎসুক সাধারণ জনতা কলেজ রোডের উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন গাছকাটার দৃশ্য।
পুরাতন এ গাছগুলো কেটে ফেলার প্রভাব উল্লেখ করে বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ বাংলানিউজকে বলেন, এমন গাছে খুড়ুলে প্যাঁচা (Spotted Owlet), খয়রা শিকড়ে প্যাঁচা (Brown BooBook), বিপন্ন চন্দনা টিয়াসহ (Alexandrine Parakeet) দেশি অনেক পাখি বাসা বানায়। যদি এই গাছগুলো শহরে থাকে তবেই এইসব পাখিরা এখানেই বাসা বানাবে। গাছগুলো কেটে ফেলার ফলে স্থানীয় পরিবেশ ব্যবস্থা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি গাছে বসবাসকারী পাখিদের জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গল থানার গাছগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে। গাছের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ-বায়ান্নটার মতো হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়কারী আ স ম সালেহ সুহেল বাংলানিউজকে বলেন, টেন্ডারের ভিত্তিতে সরকারি রাজস্ব জমা দিয়ে গাছ কাটা হলে তো আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু পুরানো গাছগুলো রক্ষা করে অপেক্ষাকৃত ছোট গাছগুলো কাটা হলে পরিবেশ ব্যবস্থা সুরক্ষিত থাকতো। রক্ষা পেতো জীববৈচিত্র্যও।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
বিবিবি/এইচএডি/