বৃহষ্পতিবার (২৮ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মাঝিরা বি-ব্লক এলাকা থেকে ওই ছানা চারটিকে উদ্ধার করে বগুড়ার পরিবেশবাদী সংগঠনের (তীর) সদস্যরা।
জানা যায়, বুধবার বিকেলে শাজাহানপুর উপজেলার বি-ব্লক এলাকায় হঠাতি মা গন্ধগোকুল লোকালয়ে চলে আসে।
যেহেতু ছানাগুলো অনেক ছোট আর তাদের মাকে হত্যা করা হয়েছে, তাই বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ছানাগুলোকে তীর সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় রাখা হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এএসএম জহির উদ্দিন আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, গন্ধগোকুল মানুষের জন্য উপকারী ও নিশাচর প্রজাতির প্রাণী। এরা রাতে খাদ্যের সন্ধানে বেরোয়। এই প্রাণীটি দেশের প্রায় সব জেলা ও উপজেলায় কমবেশি দেখতে পাওয়া যায়। এরা হিংস্র নয়। মানুষ এই প্রাণীটির উপকারিতা না জেনেই হত্যা করে।
‘গন্ধগোকুল বাচ্চা প্রসবের সময় লোকালয়ে চলে আসে। এরা বেশিরভাগ মানুষের রান্নাঘর, গোয়ালঘরের মতো জায়গাগুলোতে বাচ্চা প্রসব করে। এসময় তাদের প্রচুর প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এ কারণেই এরা বাচ্চা প্রসবের সময় ও এর পরে দিনে অথবা রাতে লোকালয়ে চলে আসে। এরা কেঁচো, কুচিয়া, পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা এরা প্রচুর ইঁদুর খায় যা কৃষকের জন্য যথেষ্ট উপকার বয়ে আনে।
তিনি আরও বলেন, বগুড়ায় উদ্ধার হওয়া গন্ধগোকুলের ছানাগুলোকে তীর সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় রাখা হয়েছে। এদের মাকে হত্যার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষের সচেতনতার অভাবে এ প্রাণীগুলো মারা পড়ছে।
গন্ধগোকুলের ছানাগুলো উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন, শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন, বিবিসিএফ এর সভাপতি ইকবাল হোসেন, বগুড়া বাডর্স ক্লাবের সভাপতি তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব, তীরের সহ-প্রচার সম্পাদক রিফাত হাসান, সদস্য সাব্বির আহম্মেদ সাকিল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
কেইউএ/এএ