মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার পদ্মার শাখা নদী সংলগ্ন গ্রামের একটি পুকুর থেকে রাসেল ভাইপার নামে একটি সাপ উদ্ধার করেছে স্থানীয় অপু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। সাপটি ধরার পর তিনি নিজ হেফাজতে রেখেছেন।
অপু মণ্ডল জানান, টেলিভিশনে 'ডিসকভারি' চ্যানেলে কিভাবে সাপ ধরতে হয় দেখেছিলাম। ঠিক সেভাবেই সাপটিকে পুকুর থেকে অন্যত্র নিয়ে বস্তায় ভরে লোহার খাচায় রাখা হয়েছে। সাপটিকে কোনো আঘাত করা হয়নি।
রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের মিতারা এলাকার পুকুরে সাপটির সন্ধান পাওয়া যায়।
জেলার কয়েকজন সাংবাদিক সাপটির ছবি, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সহায়তায় চট্টগ্রাম ভেনম রিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তা বোরহান বিশ্বাসকে পাঠালে তিনি নিশ্চিত করেছেন সাপটি রাসেল ভাইপার।
বোরহান বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, এ সাপটির নাম রাসেল ভাইপার। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সাপটিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যা ভেনম রিচার্স সেন্টারে এন্টি ভেনম তৈরির কাজে ব্যবহার করা হবে। সাপটি না মেরে রক্ষা করার জন্য তিনি স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি এই ধরনের বিষধর সাপ দেখতে পেলে বিশেষজ্ঞদের জানাতে এবং সাধারণ মানুষকে সাপের কাছে না যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
পেশায় চাকরিজীবী স্থানীয় অপু মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, পুকুরটিতে মাছ ধরার সময় দেখা যায় কচুরিপানার ভেতরে একটি বড় সাপ লুকিয়ে আছে। প্রথমে মনে হয়েছিল অজগর সাপ। কিন্তু গুগলে সার্চ করে ছবি মিলিয়ে এটি রাসেল ভাইপারের সঙ্গে মিলে যায়। স্থানীয়রা সাপটিকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। সাপটি ধরতে কেউ এগিয়ে আসছিল না। এমন পরিস্থিতিতে সাহস নিয়ে এককভাবে সাপটিকে পুকুর থেকে ধরে একটি বস্তায় ভরে লোহার খাঁচার ভেতর রেখেছি।
তিনি আরো বলেন, টেলিভিশনে ডিসকভারি চ্যানেলে সাপ ধরা দেখাতো। সেভাবেই চেষ্টা করে জীবনের প্রথম এ বিষধর সাপটিকে ধরকে সক্ষম হয়েছি। সাপটিকে নিরাপদে নিজ হেফাজতে রেখেছি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসে সদরের পদ্মার শাখা নদী থেকে একটি রাসেল ভাইপার উদ্ধার করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
আরএ