ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সুরিনামের বনে নতুন ৪৬টি প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১২
সুরিনামের বনে নতুন ৪৬টি প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান

সুরিনাম: দক্ষিণ আমেরিকার ছোট্ট দেশ সুরিনামে নতুন ৪০টি প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চেরিটি কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানী দল এই প্রজাতিগুলোর সন্ধান পেয়েছে।



তারা জানিয়েছে, অনুসন্ধানী দলটি বিজ্ঞানী, স্থানীয় আদিবাসী এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে মোট এক হাজার ৩শ’টি নানা প্রজাতির প্রাণী সংগ্রহ করেছে। এখন এগুলোর মধ্য থেকে নতুন প্রজাতি আলাদা করার প্রক্রিয়া চলছে।

সন্ধান পাওয়া নতুন প্রজাতির মধ্যে রয়েছে, কাউবয় ফ্রগ নামে একটি উভচর প্রাণী। এর পায়ে সাদা আঁচিল এবং গোড়ালিতে উজ্জল রংয়ের দাগ রয়েছে।
 
আরেকটি রঙিন প্রাণী পাওয়া গেছে যা এক ধরনের ঝিঁ ঝিঁ পোকা। এদের বলা হচ্ছে ক্রেয়লা কেটিবার্ড। এর শরীর অতি উজ্জল ও বিচিত্র বর্ণের হওয়ার কারণে এই নামকরণ।

এই তালিকায় আরো রয়েছে গায়ে কাঁটাওয়ালা ক্যাটফিস। এদের আবাসস্থলে বসবাস করা হিংস্র পিরানহা থেকে আত্মরক্ষার জন্য এটা এদের সাহায্য করে। এসব অঞ্চলে বিশালাকৃতির পিরানহা মাছ থাকে। এদের আক্রমণের শিকার হয় তারা। যে মাছটির নমুনা পাওয়া গেছে সেটিও প্রায় খেয়ে ফেলেছিল তারা। তবে সৌভাগ্যবশত কিছু নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছেন অনুসন্ধানী দলের গাইড।

কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনালের র‌্যাপিড অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে তিন সপ্তাহের এই প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনাল ২০ বছর ধরে এই ধরনের অনুসন্ধানে কাজ করছে। নতুন ৪০টি প্রজাতির সন্ধানলাভকে তাদের একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কিন্তু নতুন প্রজাতি খোঁজার জন্য সুরিনামকে বেছে নেওয়া হলো কেন? এই প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক ড. ট্রোন্ড লারসেন বলেন, ‘সুরিনামের উপর দিয়ে উড়ে গেলে দেখবেন শত শত মাইল বিস্তৃত বনভূমি। এখানেই এমন সব প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যাবে যা আগে কেউ কোথাও দেখেনি। ’

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাপ্ত প্রাণীগুলো এবং এখানকার জীববৈচিত্র পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু যদি এগুলোর দিকে এখনই নজর না দেওয়া হয় তবে খুব শিগগির এগুলো হারিয়ে যাবে। ’

দলটি স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে বনের মধ্যে একটি নো টেক জোন গঠনের জন্য কাজ করছে। শেষে পুরো এলাকাটিকে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ এলাকায় পরিণত করাই তাদের লক্ষ্য।

তারা বলছেন, এর ফলে স্থানীয় জীববৈচিত্র রক্ষা পাবে। শিকারজীবী স্থানীয় আদিবাসীদের কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করেই এলাকাটি একটি বাস্তুপর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে তাদের আশা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।