নতুন এক জাতের বিষধর সাপ পাওয়া গেছে আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। হলুদ-কালো আঁশ, ঘোলাটে হলদে চোখ ও দুই শিংওয়ালা ভীতিকর চেহারার এ সাপটির নাম রাখা হয়েছে ম্যাটিলডা’স হর্নড ভাইপার।
একটি ছোট্ট মেয়ের নামে এই সাপটির নামকরণ করা হয়েছে।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, দু’বছর আগে তানজানিয়ার ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির পরিচালক টিম ড্যাভেনপোর্টসহ তিন সদস্যের একটি দল খুঁজে পায় অদ্ভুত চোহারার এ সরীসৃপটিকে। পরে ড্যাভেনপোর্টের কন্যা ম্যাটিলডার নামে এর নামকরণ করা হয়।
এটি দু’ফুট বা তার চেয়ে বড়ো হতে পারে। দেখতে বেশ হিংস্র এবং বিষধর প্রজাতিভুক্ত হলেও খুব একটা আচরণে আগ্রাসী নয়।
১২ বছর ধরে তানজানিয়ায় বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিক ড্যাভেনপোর্ট বলেন, সাপটিকে পাওয়ার পর থেকে আমার পাঁচ বছরের মেয়ে এটার প্রতি এতোটাই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে যে, সারাদিন সে এটার পাশেই বসে থাকতো। সাপটিকে দেখা-শোনা করতেও সে আমাদের সাহায্য করতো।
তখন থেকে আমরা একে ম্যাটিলডা’স ভাইপার ডাকতাম। পরে ওই নামটিই থেকে যায়।
প্রাণীবিশারদদের তথ্যমতে, গত তিন দশকে আফ্রিকা অঞ্চলে নয়া তিন প্রজাতির ভাইপার পাওয়া গেছে। এদের প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্লভ।
তবে চোরা শিকারিদের হাত থেকে সাপগুলোর সম্ভাব্য সঙ্গী বা বংশধরদের বাঁচাতে ঠিক কোথায় এদের পাওয়া গেছে তা প্রকাশ করছে না ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি।
ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে নিউইয়র্কের ব্রন্ক্স চিড়িয়াখানা ও সেন্ট্রাল পার্ক চিড়িয়াখানা। আগামীতে এ দু’টি চিড়িয়াখানার যেকোনোটিতে প্রদর্শনের জন্য ম্যাটিলডা’স হর্নড ভাইপার রাখা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময় : ১২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০১২