রাজশাহী: রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় ময়না পাখির খাঁচার সামনে যেতেই পাখিটি বলে উঠলো-তোমার নাম কী? অমনি পাখিটি অবাক করে দিয়ে ফের বলে উঠলো-তোমার নাম কী? পাখিটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি মিষ্টি কণ্ঠ।
কোনো কথা শুনে তা হুবহু নকল করতে ময়না পাখির জুড়ি মেলা ভার।
২০২০ সালের ৩০ আগস্ট মায়না পাখি দু'টি দিয়েছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। একটি বড় খাঁচায় একইসঙ্গে থাকে পাখি দুটি। প্রায় এক বছর আগে কথা বলতে শুরু করে। কয়েকটি কথার মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বলতে পারে- তোমার নাম কী? হঠাৎ করে কথা শুনে চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীদের অনেকেই চমকে যান। কেউ খাঁচার কাছে আসলে কথা বলে; কাছে আসে।
চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা জানান, পাখির কিচির-মিচির শব্দ শুনতে যেমন মানুষ আসেন, অন্যদিকে ময়না পাখির কথা শুনতেও ভিড় করেন এখানে। চিড়িয়াখানা খোলা থাকলে, দর্শনার্থীরা একবার হলেও ময়নার খাঁচার কাছে আসে। বিশেষ করে শিশুদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। করোনার কারণে বন্ধ এই চিড়িয়াখানাটি। তাই নেই দর্শনার্থী। কিছু কর্মী ছাড়া একেবারেই ফাঁকা। পশু-পাখিদের খাবার দেওয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নিয়মিতই আসতে হয় তাদের।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক মো. বাবর আলী বাংলানিউজকে বলেন, ময়না পাখিগুলো অনেকদিন থেকেই কথা বলে। তবে ময়না পাখিগুলো খুব মিশুক। কেউ কাছে গেলে কথা বলে ওঠে। তাই হঠাৎ কথা শুনে অনেকেই অবাক হন। পাখিগুলো প্রায় এক বছর ধরে এখানে আছে। এদের ভাত ও কলা মেখে দিতে হয়। দিনে একবার খাবার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
এসএস/এএটি