ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সেই মেছো বিড়ালটি উদ্ধার করল বন বিভাগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
সেই মেছো বিড়ালটি উদ্ধার করল বন বিভাগ 

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বন্যার পানিতে ভেসে আসার পর গ্রামবাসীর হাতে আটক মেছো বিড়ালটিকে উদ্ধার করেছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। মানুষের মারধরে আহত এই প্রাণীটির চিকিৎসা শুরু করেছেন তারা।



রোববার (২৭ জুন) বানিয়াচং উপজেলার গানপুর গ্রাম থেকে মেছো বিড়ালটিকে হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ে আনা হয়। এটির কাঁধে ফিকলের আঘাত এবং জিহ্বাতেও আঘাপ্রাপ্ত হয়েছে।

হবিগঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, ফিকলের আঘাতে ক্ষতস্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেছো বিড়ালটিকে খাওয়ানের জন্য দুটি মোরগ কিনে আনা হয়েছে। তবে জিহ্বাতে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় খেতে পারছে না। পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিয়ে প্রাণীটিকে সুস্থ করে তোলার প্রচেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গানপুর গ্রামে বন্যার পানিতে ভেসে আস কচুরিপানার মধ্যে মেছো বিড়ালটি ভাসছিল। গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে সেটি গাছে উঠে। সেখান থেকে গ্রামের এক ব্যক্তি সেটিকে ধরে আনেন এবং কয়েকজন মিলে রশিতে ঝুলিয়ে প্রাণীটিকে মারধর করতে থাকেন। ফিকল দিয়েও আঘাত করা হয়। মেছো  বিড়ালটি চেঁচাচ্ছিল। খবর পেয়ে বন বিভাগ দ্রুত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সেটির সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

মেছো বিড়ালকে কেউ কেউ মেছোবাঘ বা বাঘরোল বলেও ডাকেন। মাঝারি আকারের বিড়ালগোত্রীয় এক ধরনের স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী। প্রাজিল, কোস্টা রিকা, বাংলাদেশ, ভারত, বলিভিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, লাউস, শ্রীলঙ্কায় এরা স্থানীয়ভাবে বাঘরোল নামে পরিচিত। বিগত কয়েক দশকে এগুলোর সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জনবসতি স্থাপন, কৃষিজমিতে রূপান্তর, জলাভূমিগুলো দিন দিন সংকুচিত ও হ্রাস পাওয়াই এর মূল কারণ। তাই আইইউসিএন ২০০৮ সালে মেছো বিড়ালকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

আরও পড়ুন: অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেল মেছো বিড়াল

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।