ঢাকা: তীব্র গরমে ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাঘ, সিংহ, ভালুক, হরিণসহ প্রাণীকুল। রোদের খরতাপে পাখিদেরও বেড়েছে অস্বস্তি।
কয়েকদিন যাবত অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মাংসাশী প্রাণীগুলো বেশ দুর্ভোগে পড়েছে। খাঁচার ভেতরে থাকা জলাধারে কেউ শরীর ডুবিয়ে, আবার কেউ মুখ ডুবিয়ে গরম থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
অস্থির হয়ে পড়েছে চৈত্রের তাপদাহে। প্রায় সব প্রাণীর খাবার গ্রহণে কিছুটা অনীহা দেখা দিচ্ছে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় চিড়িয়াখানার গিয়ে দেখা মিলল এমন সব দৃশ্য।
চিড়িয়াখানার উত্তরে আফ্রিকান সিংহ দুটিকে খাঁচার বাইরে বেষ্টনীর ভেতরে মুক্ত আকাশের নিচে খেলা করছে এবং গরম থেকে বাঁচার জন্য ঘাসের উপর গড়াগড়ি খেতে দেখা যায় তাদের।
অতিরিক্ত গরমের কারণে চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীদের চাপও আজ অনেক কম।
ফ্যামিলি ও বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে সাভার থেকে চিড়িয়াখানার পশুপাখি দেখতে এসেছেন মো: সোহেল (৩০)।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যখন ১০ টাকার টিকিট ছিল তখন থেকে এই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসি। চিড়িয়াখানা আগের থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আজকে বাঘ ভালুক ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। কারণ গরমে ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে তারা। বের হচ্ছে না।
এ বিষয়ে কিউরেটর মো. মজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অতিরিক্ত গরমে মাংসাশী ও নানা প্রজাতির পশু পাখির বেশি সমস্যা হয়। তার জন্য আমরা নানা ধরনের ব্যবস্থা আগে থেকেই নিয়ে রেখেছি। খাঁচার হাউসের পাশাপাশি বালতি ও গামলায় করে আমরা বাড়তি পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কিছুক্ষণ পরপর সাধারণ তাপমাত্রার পানি দেওয়া হচ্ছে। এবং ভিটামিন সি ও স্যালাইন দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমাদের চিড়িয়াখানা কোনো পশুপাখি অসুস্থ হয়নি। কোনো পশুপাখি মারাও যায়নি।
অতিরিক্ত গরমে পশুপাখিদের যত্নের প্রতি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে মাংসাশী প্রাণি ও পাখিদের বেশি সমস্যা হয়। এসময় এসব প্রাণী ও পাখিদের বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকি। প্রতিদিন রুটিন ওয়ার্কের সময় পাখি ও মাংসাশী প্রাণীদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
জিএমএম/এসএএইচ