ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

নোবেল পুরস্কার ও সংখ্যারহস্য

রানা রায়হান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১০
নোবেল পুরস্কার ও সংখ্যারহস্য

পৃথিবীর সবচে মর্যাদাকর পুরস্কার হিসেবে নোবেল বহু ঘটন-অঘটনের সঙ্গে জড়িত। এর ১০৯ বছরের ইতিহাসে তথ্য-উপাত্তের যেমন পাহাড় জমা হয়েছে, তেমনি এগুলোতে আছে নানা কৌতুককর ও কৌতূহল-জাগানিয়া উপাদান।

এ লেখায় এমন কিছু মজার তথ্য তুলে ধরা হলো :

২৩৭ : ২০১০ সালে রেকর্ডসংখ্যক নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রার্থীর কথা জানা গেছে। মোট সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ২৩৭-এ। এর মধ্যে ৩৮টি সংগঠন রয়েছে। পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়াদের নাম গত ৫০ বছর ধরে গোপন রাখা হয়। তবে প্রার্থী মনোনয়নে যারা থাকেন তারা তাদের নির্বাচন বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করতে পারেন। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চীনের কজন ভিন্নমতাবলম্বী, রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল, আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থা, ইসরায়েলের মরদেচাই ভানুনু শান্তি পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে।

৯০ : সবচে বেশি বয়সে নোবেল বিজয়ী। রুশ বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লিওনিদ হুরউইজ ২০০৭ সালে ৯০ বছর বয়সে অর্থনীতিতে এ পুরস্কার পান। পুরস্কার পাওয়ার কয়েক মাস পর ২০০৮-এর জুনে তিনি মারা যান।

৮৭ : সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল পুরস্কার পাওয়া নারী। ব্রিটিশ লেখিকা ডোরিস লেসিং ২০০৭ সালে ৮৭ বছর বয়সে নোবেল সাহিত্য পুরস্কান পান। পরে লেসিং তার পুরস্কার পাওয়ার ঘটনাকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে উল্লেখ করেন। কারণ নোবেল পাওয়ার পর লেখালেখির জন্য আর কোনও সময় পাচ্ছিলেন না তিনি।

২৫ : সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি। ব্রিটিশ নাগরিক লরেন্স ব্র্যাগ মাত্র ২৫ বছর বয়সে ১৯১৫ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। জার্মানির কার্ল হাইসেনবার্গ ১৯৩২ সালে মাত্র ৩১ বছর বয়সে একই বিভাগে নোবেল পান। একসময় রুডইয়ার্ড কিপলিং ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী। ১৯০৭-এ ৪২ বছর বয়সে তিনি সাহিত্যে নোবেল পান।

১০১ : নোবেল পুরস্কার পাওয়া জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সী ইতালির লেভি-মনতালচিনি। এখন তার বয়স ১০১ বছর। ১৯৮৬ সালে চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান তিনি।

৬ : এটা নোবেল পুরস্কার পাওয়া বাবা-ছেলের সংখ্যা। এর মধ্যে বাবা-মেয়ের উদাহরণ কেবল একটিই রয়েছে। মা-মেয়েও তাই। এছাড়া বিবাহিত তিন দম্পতি এই পুরস্কার পেয়েছেন। শেষোক্ত তিনটি উদাহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন মেরি কুরির মেয়ে আইরিন কুরি।

৪০ : এ পর্যন্ত এ সংখ্যক নারী নোবেল পেয়েছেন। ১৯০১ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৭৬৫ জন পুরুষ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

২৬ : ইংরেজি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৬। এ ভাষায় লেখার জন্য সবচেয়ে বেশি পুরস্কার।   এরপর যথাক্রমে রয়েছে ফরাসি ও জার্মান (১৩), ¯প্যানিশ (১০), ইতালীয় ও সুইডিশ (৬), রুশ (৫), পোলিশ (৪), ড্যানিশ (৩) এবং গ্রিক ও জাপানিজ (২)।

৬ : নোবেল পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন এই সংখ্যক ব্যক্তি। জাঁ পল সার্ত্রে ১৯৬৪ সালে ও ভিয়েতনামের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লি দুক থো ১৯৭৩ সালে পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন। অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির তিন বিজ্ঞানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তারা নোবেল নিতে পারেননি । এরা হলেন, ১৯৩৮ সালে রিচার্ড কুন (রসায়ন), ১৯৩৯ সালে অ্যাডলফ বুটেনান্ট (রসায়ন) ও একই বছর গেরহার্ড ডোম্যাক (চিকিৎসা)। এছাড়া ১৯৫৮ সালে সোভিয়েত সরকার কবি বোরিস পাস্তারনাককে এই পুরস্কার না নিতে বাধ্য করে।

এএফপি অবলম্বনে

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৮৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।