ঢাকা, সোমবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুন ২০২৫, ১৯ জিলহজ ১৪৪৬

ফিচার

বুদ্ধের দর্শন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়

শেরিফ আল সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৫৮, মে ৩০, ২০১২
বুদ্ধের দর্শন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়

কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া অষ্টম শতকের দ্বিতীয়ার্ধের দিকে প্রতিষ্ঠিত পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় পুণরায় চালু হবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষুর উদ্যোগে বুদ্ধের দর্শন ভিত্তিক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে খুব শিগগিরই।



পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুণঃ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করার জন্য ড. জিনবোধি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন জানান। প্রসঙ্গত, বুদ্ধের দর্শনকে সম্মান দেখিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন একটি কমিটি গঠন করেন। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায়  প্রাচীন পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত ছিল। সে জায়গাটি উক্ত কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে।

অষ্টম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে পাল রাজা ধর্মপাল এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাসবিদদের মতে এই বিহারটি (বিশ্ববিদ্যালয়) তৎকালীন খ্যাতিমান পণ্ডিত ও জ্ঞানী ভিক্ষুদের আবাসস্থল ছিল। এখানে বসেই বাংলাভাষার আদি গ্রন্থ চর্যাপদ বা চর্যাগীতি রচনা করেন বৌদ্ধ পণ্ডিত-কবিরা।

এই বিশেষ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের গঠিত কমিটি গত ২১ মে শ্রীলংকা সফর করে। এই কমিটির সঙ্গে উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, অধ্যাপক জিতেন্দ্র লাল বড়–য়া ও বেগম লামিয়া খাতুন শ্রীলংকা যান। বৌদ্ধ প্রধানদেশ শ্রীলংকায় এ ধর্মের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থের অবস্থান। আর তাই এদেশটির সহযোগিতায় বৌদ্ধদর্শন নির্ভর এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম  উদ্যোক্তা অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু বাংলানিউজকে জানান, এশিয়া তথা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা ছুটে আসবে বাংলাদেশে। খুলে যাবে শিক্ষার দুয়ার। ঐতিহাসিক পণ্ডিত বিহারের ধ্বংস স্তুপের ওপর নতুনভাবে আন্তর্জাতিক পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার দুয়ার বিশ্বের কাছে উন্মোচিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১২
সম্পাদনা: আহসান কবীর, আউটপুর এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।