ক্রমাগত অসম্মান আর অবমাননায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে ঘরছাড়া স্ত্রীকে ফিরে পেতে নিজেকে চরম শাস্তি দিয়েছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের বান্টি বর্মা (৩২)। অভিমানী স্ত্রীর মান ভাঙ্গাতে শেষ পর্যন্ত নিজের জিব কেটে ফেলেছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের সেন্ধোয়ার খালবাদি এলাকার বাসিন্দা টিভি মেকানিক বান্টি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন- এই জিবের কারণেই তিনি তার প্রিয়তমা স্ত্রী হেমার ওপরে কর্কশ আচরণ করেছেন। ঝগড়ার সূত্রে একমাত্র শিশুকন্যাকে নিয়ে হেমা গৃহত্যাগ করেন সম্প্রতি। পরে তিনি অনুতপ্ত হন এবং এর পেছনের কারণ হিসেবে খুঁজে পান আসল অপরাধী ‘জিব’টাকে।
সুতরাং, না থাকবে বাঁশ না বাজবে বাঁশী তত্ত্ব মেনে যত দোষের আকর এই নন্দ ঘোষতুল্য জিবটাকেই বলি দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে স্ত্রীর কাছে লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
ঘটনার পরপর রক্তাক্ত বান্টিকে সেন্ধোয়ার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে ইন্দোরের বড় হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
কিন্তু নিজেকে এভাবে কঠিন শাস্তি দিয়েও অবমানিত স্ত্রীর গোস্বা ভাঙ্গাতে ব্যর্থ হয়েছেন বান্টি। তার পাঠানো অনুশোচনায় ভরা ক্ষমা প্রার্থনার চিঠিটিকে খুব একটা পাত্তা দেননি হেমা।
অর্থাৎ ফেরেননি স্বামীসেবায়।
তবে ফেরবেনই বা কীভাবে। সংবাদ মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনায় প্রকাশিত খবরে অনেক ক্ষেত্রেই ঘটনার কারণ অর্থাৎ আসল চিত্র বা এর প্রকৃত পটভূমি প্রকাশ পায় না। এ পর্যন্ত খবর পড়ে আপনারা সবাই ভাবছেন, কী কঠিন পাষাণ হৃদয়া বা হৃদয়হীনা হেমা! পতিপরায়ণতার জন্য বিখ্যাত ভারতীয় নারীর হৃদয়ে কি একটুও প্রেম-প্রীতি বা দয়া-মায়ার রেশ নেই!
এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বান্টির দুই বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্ত্রীর সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটিয়েছেন বান্টি। এসব কারণেই তার প্রথম স্ত্রী কয়েক বছর আগে তাকে একবোরে ছেড়ে চলে যান। হেমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। বান্টির আচরণে তিনিও একই পথ ধরেছেন।
তবে আফসোস, বান্টি বাবুর বোধোদয় অনেক পরে হয়েছে। এখন মারাত্মক গোনাগারি দিয়েও প্রিয়তমা স্ত্রীকে ঘরমুখো করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে তার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ১৪ নভেম্বর, ২০১২
একে