ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফিচার

বিশ্বের বৃহত্তম ‘ভূতুড়ে’ বিপণিকেন্দ্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৪৩, মার্চ ৪, ২০১৩
বিশ্বের বৃহত্তম ‘ভূতুড়ে’ বিপণিকেন্দ্র

ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিপণি বিতান চীনে অবস্থিত। গুয়াংদং প্রদেশের ডংগুয়ানে ২০০৫ সালে তৈরি করা হয় ‘নিউ সাউথ চায়না মল’।



৫০ লাখ বর্গ ফুট জায়গা জুড়ে অবস্থিত বিপণিকেন্দ্রটি দুই হাজার ৩৫০টি স্টোর (দোকান) ধারণ ক্ষমতার। আয়তনের দিক দিয়ে এটি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বিপণি বিতান মল অব আমেরিকার চেয়ে দ্বিগুণ।

বাইরের প্লাজায় রয়েছে শত শত পাম গাছ, ফোয়ারা এবং পানির দীর্ঘ ক্যানেল যা বিপণি বিতানের নন্দন বাড়িয়েছে। ভিতরে রয়েছে বিনোদন পার্ক। কিন্তু তারপরও এটি যেন ‘মরভূমি’।

দৈত্যাকার নকশা ও পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি মলটির গুটি কয়েক স্টোর সচল রয়েছে।

বৈশ্বিক উপাত্ত সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান এমপোরিসের গত বছরের প্রতিবেদন মতে, শপিং মলটি ক্রেতা সংকটে যেমন ভুগছে তেমনি ব্যবসায়ীরা ভাড়া নিচ্ছেন না স্টোর। অধিকাংশ স্টোর বন্ধ রয়েছে।

কোরিডোর আর উঠা-নামার সিড়িগুলো ময়লায় ভরা। আশপাশে আবর্জনা, দেওয়ালে আঁকা সুন্দর সুন্দর চিত্রগুলো, দোকানের নাম, নাম্বার ও বিজ্ঞাপনগুলো মুছে যাওয়ার পথে। |

এরূপ চিত্র ‘ভূতুড়ে’ করে তুলেছে বিপণিকেন্দ্রটিকে। এসব কারণে ইমপোরিস এটিকে ‘মৃত’ মলের কাতারভুক্ত করেছে।

২০০৫ সালে চালু করার সময় কর্তৃপক্ষ আশা করেছিল, দৈনিক এক লাখ দর্শক আসবে বিপণিকেন্দ্রে। কিন্তু আট বছর পরেও খুব কম সংখ্যক মানুষ যায় বিপণিকেন্দ্রটি। আর যারা আসে তাদের অনেকে প্রবেশ পথের মার্কিনি ফাস্ট ফুডের রেস্টুরেন্ট বা মলের বাইরে সিনেমা হলে সময় কাটায়।

বিপণিকেন্দ্রটির এ হালের অন্যতম কারণ হলো অবস্থান। ডংগুয়ান একটি কারখানার শহর এবং এ শহরের  এক কোটি অধিবাসীর অধিকাংশই অভিবাসী কর্মজীবী যারা দৈনিক জীবিকা নির্বাহের যুদ্ধে ব্যস্ত থাকেন।

মলের একটি বিক্রয় কেন্দ্র কর্মরত সিয়াও বলেন, “এখানে লোকের আসে কারখানায় কাজ করতে, কারও কেনাকাটা করার বা রোলারকোস্টারে চড়ার সময় বা অর্থ নেই। ”

চীনের দ্রত নগরায়ণের প্রতীক এই শপিং মলটি সঠিক মার্কেটিং ও ব্যবসায়ী গবেষণা ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।