ঢাকা: শুরুটা ছিল কৌতুক থেকে। কৌতুক থেকে আজ তা বাণিজ্যিক রূপ পেয়েছে।
কচ্ছপদের নিয়ে একটি ব্লগও আছে মার্কিন এ নারীর। নিজের হাতে বোনা পোশাকগুলো পরিয়ে তার ছবি আপলোড করলেন সেই ব্লগে। আর এতেই ছড়িয়ে পড়ল তার কথা, সারা বিশ্ব থেকে অনুরোধ আসতে থাকল কচ্ছবের জামা তৈরির জন্য।
বিভিন্ন নকশায় ক্যাটির তৈরি পোশাকগুলো আরামদায়ক। বিচিত্র নকশার আর আকারের পোশাকগুলো পরিয়ে কচ্ছপদের সাঁজানো হতো ফুল, কুমড়া, হাঙ্গর,আর ডাইনোসরের মতো।
যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যানকুভারের অধিবাসী ক্যাটি বলেন, “একটি ছোট কৌতুক থেকেই আমার প্রথম জামা বোনা শুরু। এক খণ্ড কাপড় জড়ানো একটি কচ্ছপের সঙ্গে আমি হাসিমাখা একটি ছবি তুলি। ”
তিনি আরও বলেন, “আমি এটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই এবং সাদামাঠা নকশায় আরও কিছু জামা বানাই, সেগুলো আমার কচ্ছপগুলোকে পরি ছবি তুলি। ছবিগুলো আমার কচ্ছপের ব্লগে পোস্ট করি এবং সেগুলো একটি কচ্ছপ ফোরামের সঙ্গে শেয়ার করি। খুব দ্রত সেগুলো জনপ্রিয়তা পায়। ”
এর পর থেকে নিজের সখের তৈরি পোশাকগুলো বিক্রি করার অনুরোধ আসে ক্যাটির কাছে। ক্যাটি শুরু করেন পোশাক বিক্রি।
দুই সন্তানের মা ক্যাটি জানান, এক নাগাড়ে বুনলে মাত্র ৩০ মিনিটে একটি জামা তৈরি করতে পারেন তিনি। তবে এটি নকশার ওপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, “আমি আমার পোষা প্রাণীকে ভালবাসি। আমি আমার তিনটি কচ্ছপকে বাঁচিয়েছি। তাদের মধ্যে একটি নরবার্ট। আমার কাছে আসার আগে সে একটি পুরে যাওয়া দোকানো ছিল এবং প্রায় ছয় মাস তাকে খাদ্য বা পানি দেওয়া হয়নি। ”
কিছু কীট-পতঙ্গ তার পায়ে কামড় দিয়েছিল, সে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। যথাযথ যত্ন, খাবার, পানি আর উষ্ণতা পেয়ে সে এখন সুস্থ আছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৩
সম্পাদনা: বুশরা ফারিজমা হুসাইন ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, [email protected]