ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২, ২২ জুন ২০২৫, ২৫ জিলহজ ১৪৪৬

ফিচার

তরুণরাই গড়ছে প্রযুক্তিবিশ্ব!

স্বপ্নযাত্রা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫৩, জুলাই ৮, ২০১৩
তরুণরাই গড়ছে প্রযুক্তিবিশ্ব!

বিশ্বব্যাপী চলছে তারুণ্যের জয়জয়কার। বিশেষ করে প্রযুক্তিবিশ্বের উন্নতির পেছনে তরুণদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

এ কথা সবারই জানা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পেস্কেলের জরিপে বের হয়ে এসেছে, বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মীদের অধিকাংশই তরুণ। এমনকি প্রধান নির্বাহীর পদে বসে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারুণ্য।

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ৩২টি প্রতিষ্ঠানের উপর জরিপ করে পেস্কেল। সেখানে দেখা যায়, ৬টি প্রতিষ্ঠানে ৩৫ বছরের উর্ধ্বে বয়সের কর্মীরা কাজ করছেন। একই সঙ্গে ৮টি প্রতিষ্ঠানে ৩০ এবং তার নিচে বয়সের কর্মীরা কাজ করছেন। যার মধ্যে ৩০ ভাগই নারী কর্মী। প্রযুক্তি উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে বলেও এ জরিপে বের হয়ে আসে।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান বুর‌্য’র এক সমীক্ষায় দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের গড় বয়স ৪২ বছর। সবচেয়ে বেশি বয়সী কর্মী রয়েছে আরেক তথ্যপ্রযুক্তি জায়েন্ট এইচপি প্রতিষ্ঠানে। সেখানে সর্বোচ্চ বয়স ৪১ বছর।

আইবিএম ও ওরাকলে রয়েছে ৩৮ বছর বয়সী কর্মী, নকিয়া (৩৬), ডেল (৩৭) এবং সনি প্রতিষ্ঠানে (৩৬)।
অন্যদিকে তারুণ্য নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষে রয়েছে ইপিক গেইম, ফেসবুক এবং গুগল। এ তিনটি প্রতিষ্ঠানে অধিকাংশ কর্মীর বয়স ২৬-২৯ বছরের মধ্যে। এ জরিপ থেকে বোঝা যায় প্রযুক্তি বিশ্বের ক্রমাগত উন্নতির পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে তরুণ নেতৃত্ব।

শিল্প-উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের উপর পেস্কেল প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৩ ভাগ প্রতিষ্ঠানের উপর এ জরিপ চালিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ২১ হাজার ৭০০ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের তথ্য জোগাড় করে পেস্কেল। এরপর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বয়সের হিসাব করতে গিয়েই তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারুণ্যের অংশগ্রহণ বিষয়টি বের হয়ে আসে।

এ বিষয়ে পেস্কেলের ইকোনোমিস্ট প্রধান কেটি বারডারো সংবাদমাধ্যমে বলেন, তরুণদের অংশগ্রহণের বিষয়টি মোটেও বিস্ময়কর নয়। বিশ্ব যেভাবে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, এ থেকেই বোঝা যায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে তরুণদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে বেশি। তবে তার মানে এই নয়, বুড়োদের দিন ফুরিয়ে গেছে। তাদের অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের উদ্ভাবনী ভাবনা দিয়েই বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিস্কো সিস্টেম এবং মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের বয়স ৩৪ থেকে ৩৫ বছর। তাদের কাছে অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ।

তবে এ বয়সটাকেও তরুণ হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে যে সব প্রতিষ্ঠান খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিত্য-নতুন উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে তরুণদের অংশ সবচেয়ে বেশি। ফেসবুক এবং গুগল অন্যতম উদাহরণ হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৩
সম্পাদনা: এসএএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।