ঢাকা: মানুষের থাকা-খাওয়ার জন্য হোটেল আছে অনেক। আর পর্যটন এলাকা হলে তো কথাই নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের অরেগান রাজ্যে রয়েছে ‘দ্যা নেস্ট’ নামক একটি মুরগির হোটেল। এই হোটেলের মালিক বিল বেজুক একজন মুরগি ব্যবসায়ী। তার একটি মুরগির ফার্ম আছে। কৃষিপণ্য সরবরাহের ব্যবসাও করেন। মুরগি নিয়ে কাজ করতে করতে মুরগির প্রতি তৈরি হয়েছে অন্যরকম ভালোবাসা। তাই তো এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাসার সামনে খোলা জায়গায় দু’টি রুম বানিয়ে একটা হোটেলই খুলে ফেললেন মুরগির জন্য।

যতটা সাড়া পাচ্ছেন এতটা কল্পনাও করেন নি বিল। সারাক্ষণ হোটেলটা ব্যস্ত থাকে। মোরগ-মুরগিকে এক রাত হোটেলে রাখার জন্য এক মাস আগে বুকিং দিতে হয় মালিককে।
হোটেলের দুটি রুমের একটি সাধারণ, অন্যটি ডিলাক্স। শস্যদানা, ছোট পোকামাকড়, বিশুদ্ধ পানি- সব রয়েছে খাবার মেন্যুতে। মালিকসহ হোটেলে কাজ করেন ৫জন। অতিথি রুমে থাকা অবস্থায় সার্বক্ষণিক কেউ না কেউ অতিথিকে সঙ্গ দেন। বিচিত্র এই ব্যবসা করে ভালোই আয় করছেন বিল।
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসে আছে আরেকটি মুরগির হোটেল। এটা ‘দ্যা নেস্ট’ এর চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন। বলা চলে মুরগিদের পাঁচ তারকা হোটেল। এই হোটেলটির মালিক আনা গ্লসার। তিনি হোটেলটি খুলেছেন আরও তিন বছর আগে। তার মুরগির হোটেলটিতে মোরগের জন্য রূপচর্চার ব্যবস্থাও আছে।

হোটেলের প্রতিটি ঘরে ৫টি থেকে ১০টি করে মোরগ-মুরগি রাখা হয়। প্রতি রাতের ভাড়া ৯২৯ টাকা। তবে যেসব মুরগির মালিক ১০ মাইলের বেশি দূরে থাকেন তাদের গুণতে হয় ৩১০০ টাকা।
ইংল্যান্ডেও রয়েছে মুরগির জন্য একটি হোটেল। কেন্টে অবস্থিত এই হোটেল। মালিক জুলি স্মিথ। তার হোটেলটি বলা চলে না, এটি সত্যি সত্যিই পাঁচ তারকা হোটেল। হোটেলের নাম ‘ফাওল্টি টাওয়ার্স’।
হোটেলের প্রতিটি ঘর ৩ফুট লম্বা। খাবারের মেন্যুতে রয়েছে ফলমূল, শস্যদানা, শাক-সবজি ইত্যাদি। সবকিছু পাওয়া যাবে মাত্র ৮৭২ টাকায়।
অনেক আগে থেকেই মানুষ মুরগি পুষছে। তবে কেউ কেউ মুরগিকে ভালোবাসেন অনেক বেশি। সেই ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবেই মুরগির জন্য হোটেল তৈরি করে ফেলেছে মানুষ। আর মুরগিও আরাম করে থাকছে সেসব হোটেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৩
এমএনএনকে/এএ/বিএসকে