ঢাকা, সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২, ২৩ জুন ২০২৫, ২৬ জিলহজ ১৪৪৬

ফিচার

তরুণ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হোক সবখানে

তাওহীদ হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫৮, অক্টোবর ৩০, ২০১৩
তরুণ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হোক সবখানে

মন, বয়স দু’টোতেই আমরা এখন তরুণ। তবে, বাংলাদেশে আগে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব সবসময় নিশ্চিত হতো না, যতটা না এসময় হচ্ছে।

এক্ষেত্রে অবশ্য দু’দিক থেকেই অবস্থার পরিবর্তন আসতে হয়েছে। প্রথমত, সমাজের মানুষ তরুণদের উপস্থিতি ভালোভাবে মেনে নিচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, তরুণরাও নিজেদের তৈরি করছেন প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে।

ব্যাপারটা আমার কাছে পজেটিভ মনে হয়। ঘরে, পাড়া-মহল্লায়, সমাজে, রাষ্ট্রে তরুণরা তাদের মনের কথা খুলে বলতে পারলে অপরাধের পরিমাণ কমারই কথা! তাতে তারা যদি কিছুটা ভুলও বলে ফেলে, তবু তাদের শোধরানোর সুযোগও দেওয়া যাবে। কিছু না বলে ঘরের কোণে বসে থাকলে তো আর সমস্যার সমাধান হবে না। বরং সমাজের ওজন বাড়বে।

তরুণদের মধ্য থেকে উঠে আসতে পারে অনেক সমাধান, নতুন কিছু। যার সাক্ষর তারা রেখে চলছেন প্রতিদিন। তাদের চিন্তা চেতনা মনন, বাংলাদেশকে তো বিশ্বের কাছেও পরিচিত করছে। তবে, আর দেশে অবহেলা কেন? হয়তো সমাজ তরুণদের ধীরে ধীরে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। আগের চেয়ে অনেক জায়গায় তরুণদের উপস্থিত নিশ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচনী ইস্তেহারেও তরুণদের কথা মাথায় রাখা হচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি।

দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলে আসছে তরুণ নেতৃত্ব। সজীব ওয়াজেদ জয়, তারেক রহমান বা সায়মা ওয়াজেদের কথাই বলুন না কেন, আমরাতো তাদের ভালোভাবেই স্বাগতম জানিয়েছি। এদের অনেকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সুনাম কুড়িয়েছেন। তাদের নিজ নিজ দলকেও তারা বেগবান করতে পারবেন এমন আশাই সবার। প্রধান দলগুলো ছাড়া বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বা এলডিপি’র মাহী বি চৌধুরীর কথাই ধরুন, এদের গ্রহণযোগ্যতা, নেতৃত্ব বা যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্নই চলে না।

জনগণ তরুণ নেতৃত্বই পছন্দ করে। তারা জনসাধারণকে দিতেও পারেন অনেক কিছু। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কথ‍া ভাবুন। রাহুল গান্ধী হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া শেষে কিন্তু নেতৃত্ব দিতেই চলে এসেছেন।

‘ফোরাম অব ইয়ং গ্লোবাল লিডার’ এর ২০১৩ এর তালিকাতে স্থান পেয়েছেন একজন বাংলাদেশিও। তখন আমরা বেশ গর্ব করেছিলাম। সুতরাং, তরুণদের সব জায়গায় স্থান দিতে হবে।

বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখছি নির্বাচনের সময় যে সরকারই থাকুক, তাদের সদস্য অনেক চিন্তা ভাবনা করে নেওয়া হয়। সেখানে নারীদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তরুণদের সেখানে ভাবা হয় না। নির্বাচনকালীন সরকার কি রূপে থাকবে এখন অবশ্য তা নিয়েই সংশয়। কিন্তু এই বিতর্কের অবশ্যই সমাধান হবে। আর নির্বাচনকালীন সরকার যে সদস্যদের নিয়েই হোক না কেন, তাতে তারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হন আর বাংলাদেশের নাগরিক হন, সেখানে তরুণদের উপস্থিতি কি আশা করা যায় না?

নির্বাচনে তরুণদের দলে ভেড়াতে সব দলই মরিয়া থাকে। আর তরুণারা তাদের মেধার পরিচয়তো বিশ্বব্যাপীই দিয়ে চলছে তাদের উদ্ধাবনী ক্ষমতা আর কাজ দিয়ে। নির্বাচনকালীন সময়ও এই তরুণদের কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেটা ভাবার উপযুক্ত সময় বোধহয় এখনই।

প্রকৌশলী তাওহীদ হাসান
[email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৩
এএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।