যিনি গড়তে জানেন, তিনি শিবও গড়তে পারেন, আবার বাঁদড়ও গড়তে পারেন’- চিত্রশিল্পী হোক আর ভাস্কর হোক তাদের নিপুনতার স্বাক্ষর মেলে এ বাক্যে। আসলে তাই।

এ ছবিগুলোই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। রে ভিল্লাফেন ও তার পেশাদার ভাস্কর দল কুমড়াকে শিল্প চর্চার উপাদান করে দেখিয়েছেন তাদের কারিশমা।

চামচ আর ছুটো ছুরি চালিয়ে কুমড়াকে দিয়েছেন ভয়ঙ্কর রূপ। একটি কুমড়াকে জনি ডেপের মুখের অবয়ব থেকে শুরু করে দৈত্যের রূপ দিতে তাদের লাগে গড়ে ঘণ্টা দুয়েক।

ভয়ঙ্কর কমেডীয় ফিল্ম গ্রিমলিনের চরিত্রও ফুটে তুলেছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের বাসিন্দা রে । নিপুনতা তুলে ধরার জন্য রে প্রয়োজন হয় মাংসল কুমড়ার। আকার কেমন সেটা কোনো বিষয় নয়। তার মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কুমড়ার ওজন।

ভাস্কর্যের শিক্ষক তিনি। নিজ শহর বেল্লায়াইরে তার স্কুল। ভাস্কর্য নির্মাণে শিক্ষা দিতে দিতে হঠাৎ তিনি কুমড়া খোদাই শুরু হয় তার।

তিনি বলেন, আমাকে স্কুলে বলা হতো কিছু কুমড়া খোদাই করার জন্য। আমি ভাবলাম কেন আমি বড় আকারের সবজির বদলে একটি কুমড়াকে কাদার টুকরা হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করি না। এটি ভালোভাবে কাজে দিয়েছে কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্কুলের শিশুরা আসলেই ভালোবেসে ফেলেছে এটি। এর কয়েকদিন পর দেখি আমার ডেস্কে এক ডজন কুমড়া খোদাই করার জন্য রাখা হয়েছে।

সুপারম্যান ও ব্যাটম্যানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিসি কমিক্স-এ এক সময় তিনি কাজ করতেন। খ্যাতির প্রসারের সঙ্গে নিজের দলকেও ভারি করছেন তিনি।

নিজেদের কাজের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে নিজ দলকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেড়াচ্ছেন রে। এ বছর তারা জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও হংকং সফর করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় তার কাজের কথা ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দেশে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৩
এসএফআই/আরআইএস