প্রাচীন খাল, তালপাতা-গম্বুজ ঘর, দর্শনীয় কাঠের সেতু-সব মিলিয়ে বইয়ের গল্পের মতো আকর্ষণীয় গ্রামীণ আবহের শহর নেদারল্যান্ডের গিথর্ন।
গিথর্ন শহরকে বলা হয় ‘ভেনিস অব নেদারল্যান্ডস’।

শহরের প্রত্যেকের রয়েছে ছোট ছোট দ্বীপ। আর দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে খাল কেটে করা হয়েছে যোগাযোগের একধরনের নেটওয়ার্ক। স্থানীয় প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব নৌকা।

চার মাইল প্রসারিত লেক যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। ১৮০টি কাঠের সেতুর মাধ্যমেও শহরের আন্তঃযোগাযোগ রক্ষা করা হয়। মালামাল পরিবহন, হেঁটে চলার জন্য ব্রিজগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়।

ভূমধ্যসাগরীয় ঔপনিবেশিকদের মাধ্যমে ১২৩০ সালের দিকে শহরটি গড়ে ওঠে। মূলত পিট সার বহনের জন্য শহরের চারপাশের লেকের মতো খালটি কাটা হয় উত্তর থেকে দক্ষিণে।

১৯৫৮ সালে ডাচ ডিরেক্টর বার হানেস্ট্রা নির্মিত ‘ফ্যানফেয়ার’ সিনেমায় গিথর্ন শহরকে নিয়ে আসার পর থেকে এটা হয়ে ওঠে পর্যটনের অন্যতম একটি জনপ্রিয় কেন্দ্র। পর্যটকরা এখানে নৌকা নিয়ে ঘুরতে পারেন। শুধু তাই নয়, শহরের ইতিহাস ঐতিহ্য জানার জন্য জাদুঘর পরিদর্শন, চিত্র প্রদর্শনীতে যেতে পারেন।

আর বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে শীতকালে গিথর্নের খালে বরফ জমায় স্কেটিং করার সুযোগও পান পর্যটকরা।

সহজ, শান্ত, সাবলীল, শান্তির জীবনযাপনের জন্য গিথর্নের মতো স্বপ্নশহরই নিশ্চয় মানুষের প্রথম পছন্দ!!
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৩
এএ/আরকে