ঢাকা: পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমন অবহেলার কারণে আর কত মৃত্যু যে দেখতে হবে তা অনিশ্চিত।
‘সমুদ্রস্নানে কেন হারায় তাজা প্রাণ’ শিরোনামে বাংলানিউজ আয়োজিত নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, পর্যটন-সম্ভাবনাময় আমাদের বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক না আসার মূল কারণ নিরাপত্তা। দেশে পর্যটক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। এ দুর্বলতা আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। এখনই পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
মালয়েশিয়ার লাংকাউই দ্বীপে পর্যটক নিরাপত্তার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সমুদ্রে গোসল করতে নেমে দেখি বিদেশি দুই নারী ওয়াটার বাইকে চড়ে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার পর বাইক উল্টে সমুদ্রে পড়ে গেছেন। যদিও তারা লাইফ জ্যাকেট পড়া ছিলেন তারপরেও তারা গভীর সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। একজন লাইফ গার্ড দেখতে পেয়ে সেই মুহূর্তে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে একটি স্পিডবোর্ডের মাধ্যমে সেখানে পৌঁছে সেই দুজন নারীকে নিরাপদে উদ্ধার করে নিয়ে এলেন।
‘জীবনে প্রথম এইরকম দৃশ্য দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম। এ দৃশ্য দেখার পর সমুদ্রে গোসল করছিলাম নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে। সেদেশের সরকার পর্যটক নিরাপত্তার ব্যাপারে কত সচেতন তা প্রমাণিত হলো। এই ঘটনা প্রমাণ করে সমুদ্র এলাকায় পর্যটক নিরাপত্তার জন্য লাইফ গার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪