ঢাকা: পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিন্সে চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন সম্প্রতি সমুদ্রে প্রাণহারানো ও নিখোঁজ ছাত্রদের শোকার্ত বন্ধুরা।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলানিউজের নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে তারা এ-দাবি তুলে ধরেন।
নিহত চার শিক্ষার্থীর শোকার্ত সহপাঠী মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেন, সেন্ট মার্টিন্স বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন জোন। প্রতিদিন সেখানে ১০ থেকে ১২ হাজার পর্যটক ঘুরতে যান। এ সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।
কিন্তু সেভাবে দ্বীপের নিরাপত্তা কিংবা চিকিৎসার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতি বছরই আনন্দভ্রমণে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন অনেকেই।
আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিনই সেখানে যেমন পর্যটকসংখ্যা বাড়ছে তেমনি বাড়ছে ব্যবসার পসারও। কিন্তু সেখানে কেউ অসুস্থ হলে কোনো ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা নেই। যা অভাবনীয়ই বটে।
দুর্ঘটনার করুণ বর্ণনা দিয়ে স্নেহাশিস বলেন, দুর্ঘটনায় বন্ধুদের হারিয়ে সমুদ্র সম্পর্কে নানা তথ্য-উপাত্ত জানতে পেরেছি। যাওয়ার আগে এত কিছু জানা কিংবা জানানোর মত কেউ ছিল না। জানলে হয়তো এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না।
আলাপচারিতায় তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন চিকিৎসার ক্ষেত্রে পুরোপুরি প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। সামান্য জ্বর, কাশি হলেও কোনো ফার্মেসি কিংবা ওষুধ কেনার ব্যবস্থা নেই। ঝাড়,ফুঁক দিয়েই তারা রোগ সারানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অনেক সময় টেকনাফ অথবা কক্সবাজারে নেওয়ার আগেই অনেক রোগী মারা যায়।
সেন্টমার্টিন্সে চিকিৎসার আকালের বিষয়টি স্বীকার করেছেন সেখানে দায়িত্বরত কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কাজী হারুনুর রশীদও।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম পরিচালনার মত পর্যাপ্ত জনবল কোর্স্টগার্ডের নেই। মাঝে মাঝে মেডিকেল ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা করা হয়।
তবে পর্যটক ও স্থানীয়দের স্বাস্থ্যরক্ষায় ওই দ্বীপে চিকিৎসাসেবা চালু করার দাবি জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪