ঢাকা: সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতে ঘোষিত রেড জোনের আশপাশে আরও অনেক রেড জোন রয়েছে। এসব রেড জোনের কথা দ্বীপে আসা পর্যটকরা জানেন না।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই বললেন সম্প্রতি সৈকতে গিয়ে নিহত চার ছাত্রের বন্ধু শোভন।
তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিন সৈকত কর্তৃপক্ষ যে সব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তার আশপাশেও অনেক রেডজোন রয়েছে। আমাদের বন্ধুরাও সেই এলাকায় গিয়ে ভাটার টানে মারা গেছে। রেডজোন চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও জরিপ ও পর্যবেক্ষণ চালানো প্রয়োজন।
শোভন বলেন, জোয়ার ভাটার সময় উল্টো স্রোতের (রিপ কারেন্ট) সৃষ্টি হয়, এ স্রোত উত্তাল না হলেও চরম বিপদজ্জনক। রিপ কারেন্ট সৃষ্টি হলে পাশ দিয়ে সাঁতার কাটতে হয়। যা আমাদের জানা ছিল না।
রেড জোন প্রসঙ্গে কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. হারুন অর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, রেড জোন চিহ্নিত করার দায়িত্ব জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভে টিমের। তাদের ওই কাজে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সহায়তা করে থাকে।
রিপ কারেন্ট বিষয়ে তিনি বলেন, সমুদ্রে নামলে অবশ্যই ভালো সাঁতার জানতে হবে। এসময় মাথা ভাসিয়ে রেখে র্সাতার কাটতে হবে। আর বড় ঢেউ এলে ডুব দিতে হবে। চলে যাওয়ার পর আবার মাথা ভাসাতে হবে।
এ জন্য একজন ভালো সাঁতার বিশেষজ্ঞর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন লে. হারুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪