ঢাকা, রবিবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুন ২০২৫, ১৮ জিলহজ ১৪৪৬

ফিচার

ক্ষুধার যন্ত্রণায় দু’শতাধিক বানর

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৩৫, মে ৩, ২০১৪
ক্ষুধার যন্ত্রণায় দু’শতাধিক বানর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ: বানরের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে দেখা দিয়েছে বানরের তীব্র খাদ্য সংকট। এখানকার প্রায় দু’শতাধিক বানর ক্ষুধার যন্ত্রণায় দিনাতিপাত করছে।



ক্ষুধার জ্বালায় গাছের মগডালে কিংবা মাটিতে নেমে এসে বানরগুলো চিৎকার-চেচামেচি করছে। আর দর্শনার্থীদের হাতে খাবার দেখলেই দল বেঁধে খাবারের জন্য লাফালাফি শুরু করে দিচ্ছে। যেন এদের দেখার কেউ নেই!

দুরন্ত এ সব বানর দেখতে নানা জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। তারা হাতে করে মুড়ি, পাউরুটি, বিস্কুট ও বাদাম নিয়ে আসেন বানরগুলোর জন্য। তবে বানরের সংখ্যার তুলনায় দর্শনার্থীদের নিয়ে আসা খাদ্য পর্যাপ্ত নয়।
mymensingh
দর্শনার্থীদের সহানুভূতিতে বানরগুলো পঙ্গপালের মতো এমনভাবে ছুটে আসছে, যেন অনেক দিনের চেনা। এছাড়া এখানকার স্থানীয় বনবিটের কর্মকর্তাদের দেওয়া খাবার খেয়ে দিন পাড়ি দিচ্ছে প্রকৃতির অনন্য সম্পদ এসব বানর। যা একদমই পর্যাপ্ত নয় বলছেন বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা।

এখানকার প্রায় দু’শতাধিক বানর চরম খাদ্য সঙ্কটে দিনাতিপাত করছে। ক্ষুধার তাড়নায় বানরগুলো কখনো সরবে আবার কখনো নীরবে কেঁদে ওঠে।

স্থানীয় দুষ্টু ছেলেরা বানরগুলোকে তাড়াও করছে। তাড়া খেয়ে বানরগুলো আরও জোরে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।

বনবিট অফিস রুমে গিয়ে দেখা গেছে, বিট কর্মকর্তার থাকার চৌকি, মাচার ও টেবিলের উপরে, চৌকির নিচে ক্ষুধার্ত বানরগুলো খাবারের জন্য রীতিমতো সন্ধান চালাচ্ছে।
Banor
এ নিয়ে স্থানীয় বনবিট কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, অনেকে বেড়াতে এলে বানরগুলো খাবারের জন্য তাদের ঘিরে ফেলে। তখন আমরা বলি, ভয়ের কোনো কারণ নেই। ওরা আচড় ও কামড় দেবে না, ক্ষতি করবে না।

এর দ্বারাই বোঝা যায় বানরগুলো কি পরিমাণ ক্ষুদার্ত।

প্রতি বছরই বানরের সংখ্যা বাড়ছে। বাচ্চা প্রসবের মাধ্যমে বছরে ১৫ থেকে ২০টি বানর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ভাবে বর্তমানে দু’শতাধিক বানর রয়েছে এখানে।

তবে এ সব বানরের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করার যেন কেউ নেই।
Banor_mymensingh
এ ব্যাপারে ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বনানী বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, বানরের খাদ্য সংকটে স্থায়ীভাবে বন বিভাগকে ফলজ গাছ লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে করে খাদ্য সংকট কেটে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এই দায়হীন উত্তরে কি আর বানরগুলোর খাদ্য চাহিদা মিটবে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মতবাদ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এসব বানরের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।