একদা তিন অলস সিংহ সিদ্ধান্ত নিলো আজ আর শিকারে যাবে না। মুফতে যদি রাতের খাবারটি পাওয়া যায় তাহলে আর এত কষ্ট কেনো? এই ভেবে সে রাতে তারা চুরি করলো একটি চিতার ধরে আনা শিকার।
সাহসী আর কর্মঠ চিতা সে রাতে প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় একটি চতুর ইমপালা (আফ্রিকান হরিণ) শিকার করে।

মুখে শিকার নিয়ে গর্বিত-অদম্য চিতা উঠে যায় একটি উঁচু গাছে।

সেখানেই ঝুলিয়ে রাখে তার রাতের খাবার। তখনো সে জানে না আশেপাশে শত্রুর দল ঘুরঘুর করছে।

এদিকে পাঁজি সিংহের দল আগে থেকেই লক্ষ রাখছিলো চিতার গতিবিধি। তারা তক্কে তক্কে ছিলো একটি মোক্ষম সুযোগের।

বন্যজীবনের ছবি তুলতে ওস্তাত এন্ড্রু সোম্যানের ক্যামেরাও ছিলো সজাগ। ছবিগুলো তুলতে তাকেও ক্যামেরা চোখে ওঁত পেতে থাকতে হয়েছে দীর্ঘক্ষণ।
বললেন, ৪৫ মিনিট ধরে চিতার শিকার ধরার কৌশল ক্যামেরাবন্দি করে যখন হাত-পা ঝেড়ে দাঁড়াই দেখি দৃশ্যপটে তিন সিংহ। দক্ষিণ আফ্রিকার স্যাবি স্যান্ড সাফারি পার্কে সেই মধ্যরাতের একটি যুদ্ধের গন্ধ পাচ্ছিলাম। তাই ক্যামেরা চোখে লেগে পড়ি আবারও।

কিন্তু সিংহগুলোর পরের কাজটি রীতিমতো হতবাক করে দেয়। তিন সিংহ উঠে পড়ে গাছে। আর শিকার ছিনতাইয়ে নিজেদের মধ্যে লাগায় ধুন্ধুমার যুদ্ধ।
বিপদ বুঝে চিতা সটকে পড়ে। আর মুফতে পাওয়া শিকারে রাতের খাবার পেট পুরে খায় তিন সিংহ।
দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসপ্রুটের বাসিন্দা সোম্যান বলছিলেন, তিনি আর কখনোই সিংহদের এভাবে গাছে চড়তে দেখেননি।
তিন সিংহ যখন দল পাকিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন একটু টেনশনই হচ্ছিলো- না জানি চিতার ওপর হামলা হয়। কিন্তু চিতা যখন অক্ষত অবস্থায় পালাতে পারলো তখন স্বস্তিবোধ করলাম, বলেন এন্ড্রু শোম্যান।