ঢাকা: হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেন না প্রচণ্ড দুর্গন্ধময় কাদাপানিতে সাঁতার কাটার কথা। কিংবা ভুল করে হলেও লাফ দিয়ে পড়ছেন, বমি এনে দেওয়া পাঁকযুক্ত কোনো এঁদো পুকুর বা ডোবায়।
আপনার ধারণা বা অভিজ্ঞতায় কাদাপানি ও পাঁক কতটা বাজে হতে পারে? লিখে নিন, এ জিনিস তার কয়েক গুণ তীব্র! মানে নোংরার চূড়ান্ত।
শিরোনাম পড়েই খানিকটা হয়তো আন্দাজ করেছেন। হ্যাঁ পাঠক, তাই। এতক্ষণ শুধু তীব্রতার ধারণা দিচ্ছিলাম। মানে এক কথায় জেনে নিন, সেখানে পচা-গলা এমন কিছু নেই যে বাকি আছে। এমনকি পশু-পাখি ও মানুষের মলমূত্রও!
ঘটনা উত্তর আয়ারল্যান্ডের। সম্প্রতি একদল অতি উৎসাহী রাস্তা, পুকুর ও ডোবা পরিস্কারে ‘নাক সিঁটকানো’ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
আরও বিস্ময়ের ব্যাপার, গত ২৭ জুলাই পিটল্যান্ড পার্কে আয়োজন করা হয় এ প্রতিযোগিতার ১০ বছর পূর্তি। মজার ব্যাপার হলো, প্রতি বছর প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়ছে বৈকি, কমছে না!
নর্দান আয়ারল্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি’র উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে থাকে এ আয়োজন। সচেতনতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক বগ ডে-ও (নোংরা ডোবা ও পুকুর পরিস্কার দিবস) পালন করেন তারা। নর্দান আয়ারল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ডোবা-পুকুর পরিষ্কার রাখতেই এতদিন এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সংস্থাটি। খবর ডেইলি মেইল।
সংক্ষেপে জেনে নিন প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী
প্রতিযোগীকে উপরোক্ত বৈশিষ্ঠের ৬০ গজ লম্বা দু’টি ড্রেন সাঁতরাতে হবে। এ সময় কোনো মাস্ক বা ফ্লিপার জাতীয় কিছু নেওয়া যাবে না। প্রতিযোগী থাকতে হবে কমপক্ষে ১২ জন।
যাইহোক, আপনার বিরক্তি বাড়িয়ে আর কাজ নেই। এ দৃশ্য আসলে বলে বোঝানোর নয়, নিজ চোখে দেখার। সেটা যেহেতু আপাতত হচ্ছে না, গুটি কয়েক ছবি দেখিয়ে আপনার দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করি।
আর একন্তই মন না মানলে চলে যান এই দেশের মোনাঘান শহরে। আগামী ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর আবারও বসতে যাচ্ছে এ অদ্ভুত প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৪
