ঢাকা: বিশ্বাস ও দৃঢ়তার সম্পর্ক অচিরেই ভেঙে যাক এটা কারও কাম্য নয়। কিন্তু সম্পর্কের জটিলতা, বাস্তবতা ও অপারগতার নির্মম পরিহাস সম্পর্কের মাঝে চির ধরিয়ে দেয়।
বারবার মুঠোফোনের দিকে চোখ পড়লেও কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না তার সঙ্গে। তবে যেখানে ভালোবাসারই অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, সেখানে শব্দ আর বাক্য শুধু জটিলতাই বাড়াবে বৈকি।
কী করবো, কী করবো না, উচিৎ-অনুচিতের পাহাড় ঠেলে নিজের অবয়বকেই খুঁজে পাওয়া দায় হয়ে পড়ে তখন। তবে সমাধানে তো আসতেই হবে। জীবনে হেরে গেলে তো চলবে না।
চিরবিদায় বন্ধু
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মুঠোফোন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। যার সঙ্গে দিনে নানা মাধ্যমে বেশ কয়েকবার কথা হতো, আজ সেই সময়গুলো জুড়ে শূন্যতা ভর করেছে। হয়তো ইচ্ছে করবে তাকে ফোন করতে। হয়তো মনে হবে, আরও একবার বোঝাপড়ায় আসা যায় কিনা। বা হয়তো কথা বলার জন্য নয়, ফোনের ওপাশ থেকে তার গলার স্বরটা একবার শুনি।
তবে মনে রাখবেন, আজকের এ সিদ্ধান্ত আপনাদের দু’জনের বোঝাপড়ারই ফল। এর পরবর্তী যোগাযোগের ফলাফল আরও খারাপ হতে পারে। বাড়তে পারে তিক্ততা।
ভালো থেকো বন্ধু
ভালোবাসা আর চিরকাল পাশে থাকা দু’টো দুই জিনিস নয়। আপনি যদি তাকে সত্যিই ভালোবাসেন, তাহলে তার সুখই আপনার কাম্য হওয়া উচিত। যদি তা আপনার সঙ্গে না হয়ে অন্য কারও সঙ্গে হয় তবুও।
কষ্টকে বশে আনুন
হঠাৎ সম্পর্কের ভাঙনে আপনার প্রতিদিনের রুটিন ব্যহত হওয়ায় এক ধরনের হতাশা কাজ করতে পারে। তবে নিজেকে হতাশার বশীভূত না করে বরং কষ্টকেই নিজের বশে আনুন। কষ্টের গান ও অন্ধকার পরিবেশ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। নিজেকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুন। ভাবুন, যা হচ্ছে নিশ্চয় ভালোর জন্যই হচ্ছে।
বদলে ফেলুন রুটিন
আপনাদের স্মৃতি বিজড়িত স্থানে কিছুদিনের জন্য যাওয়া বন্ধ করুন। যে সময় তার সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন সে সময়টাতে অন্য কিছু করুন। সিনেমা দেখুন বা নিজের পরিচর্যাও করতে পারেন।
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান
বন্ধুরা সবসময়ই আনন্দের উৎস। তাদের সঙ্গে সময় কাটান, বিষণ্ণতা কেটে যাবে। তবে ব্রেকআপের বিষয়ে আলোচনা না করাই ভালো। এতে পরিবেশ আরও ভারি হয়ে উঠবে।
নিজের জন্য বাঁচুন
ভালোবাসার ক্ষেত্রে ‘কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচবে না’ কথাটা ভীষণ প্রচলিত। কিন্তু কথাটি বাস্তব অর্থে ঠিক নয়। প্রতিটি মানুষ তার নিজ প্রয়োজনেই পৃথিবীতে আসে। নিজ প্রয়োজনে বাঁচে বলেই মানুষ একলা পথ চলতে শিখে যায়। কারণ, একজনের ভালোবাসায় অনেক কিছু এসে যায়, কিন্তু কারও অবহেলায় খুব একটা এসে যায় না।
নিজেকে ক্ষমা করুন
নিজেকে ক্ষমা করতে শিখুন। ভেবে দেখুন আপনার বর্তমান অবস্থান। আপনার ভালো থাকা, খারাপ থাকা সবকিছুর পেছনে আপনারই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সিদ্ধান্ত জড়িত। নিজের ভুলের জন্য নিজেকে ক্ষমা করুন ও ভুল থেকে শিক্ষা নিন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫