ঢাকা: গরম তো পড়েই গেল। ক’দিন বাদেই গ্রীষ্মের ছুটি।
সৈকতে বেড়ানো মানেই সেখানকার ঝলমলে বিলাসবহুল পাঁচতারকা হোটেলে রাত্রিযাপন, সারাদিন সমুদ্রে গা ভাসানো, সন্ধ্যেবেলায় সূর্যাস্ত দেখা আর নৈশভোজে আয়েশি আহার। সাময়িক স্ট্রেস কাটাতে আর কি চাই!
তো, স্ট্রেস কি শুধু মানুষেরই? বিড়ালেরও তো একঘেঁয়ে জীবন থেকে ছুটি পেতে ইচ্ছে করে তাই না!
হুম, এতদিনে পোষা আদুরে বিড়ালের দুঃখও এবার ঘুঁচলো। আপনার আদুরে তুলতুলে পোষা বিড়ালকে আগাম বার্তা জানিয়ে দিন, তার জন্যও থাকছে এমন পাঁচতারকা হোটেলের সুলভ ব্যবস্থা!
মার্চের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্টের বার্গডেলে চালু হয়েছে বিড়ালদের জন্য বিলাসবহুল ‘লংক্রফট ক্যাট হোটেল’। এখানে থাকছে তাদের জন্য যুগপোযোগী উন্নত সেবা ও সুবিধা।
মার্সেসাইডের এই পাঁচতারকা হোটেলে বিড়ালরা তাদের পছন্দমতো জীবনযাপন করতে পারবে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রতিটি ঘরই ভিন্ন ভিন্ন থিম দিয়ে সাজানো হয়েছে। আছে পেটা লোহার তৈরি প্রশস্ত নরম ডিজাইনের ক্যাট বেড ও ম্যাচিং বেডসিড।
আরও রয়েছে নিরাপদ বাগান ও খেলার জায়গা। মেন্যুতে থাকছে চীনামাটির বাসনে পরিবেশিত হাড়। বেড়াতে এসেও যদি মন থাকে অবসন্ন তাহলে কি চলে! তাইতো অতিথি বেড়ালদের বিনোদন হিসেবে থাকছে মিউজিকের সুব্যবস্থা। আরও রয়েছে তাদের ব্যক্তিগত গ্রুমিংয়ের নির্দিষ্ট সেশনও।
শুধু তাই নয়, এখানে বেড়াতে আসা বিড়ালদের মালিকরাও পাবেন বিশেষ কিছু সুবিধা। তাদের পোষা বিড়ালের ছবিসহ নিয়মিত আপডেট পাঠানো হবে।
বিড়ালদের অতিথেয়তার এই পুরো উদ্যোগটা নিয়েছেন হার্ভে সামার্স। তিনি সাগরপাড়ে অবস্থিত নিজ ভবনের নিচতলায় এ হোটেলটি চালু করেছেন।
নিজের এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ সম্পর্কে হার্ভের ভাষ্য, আমি মানুষের কাছে নতুন একটি প্রস্তাবনাই পেশ করতে চেষ্টা করছি। আমার বিশ্বাস যারা এখানে তাদের পোষা বিড়ালদের আনন্দ ভ্রমণে পাঠাবেন আমি তাদের আদুরে প্রাণীটিকে সম্পূর্ণ স্ট্রেস মুক্ত ও পরিতৃপ্ত করেই তাদের কাছে পৌঁছে দেব।
হার্ভে নিজেই একজন বিড়ালপ্রেমী। তিনি মনে করেন, এখানে বেড়াতে আসা বিড়ালদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারা তার জন্য উপরন্তু বখশিসই হবে।
নতুন এই উদ্যোগে আদৌ সাড়া পড়েছে কি না প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই অনেকে আমার এই হোটেলে নিজেদের বিড়ালদের পাঠিয়েছেন।
চলতি বছরের বড়দিন পর্যন্ত হোটেল বুকিংও দেওয়া রয়েছে বলেই জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৫
এসএম/এএ