ঢাকা: বিশ্বজুড়ে তো আর দিবসের অভাব নেই। আজ এই দিবস তো কাল ওই দিবস।
প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর পালিত হয় এ দিনটি। যার প্রস্তুতি চলে মাসের শুরু থেকে আর রেশ থেকে যায় ০১ ও ০২ নভেম্বর পর্যন্ত। কথিত রয়েছে, এ দিনটিতে সব মৃত আত্মারা পৃথিবী ভ্রমণে আসে। আকাশ জুড়ে বাদামী ঝাড়ুতে উড়ে বেড়ায় হ্যালোইন ডাইনি।
হ্যালোইন ডে বা ‘ডে অব ডেথ’ দিনটি মেক্সিকানদের কাছে দিয়া দে লাস ম্যুয়ের্তাস নামে পরিচিত। এদিন সমগ্র মেক্সিকোবাসী নগরীকে সাজিয়ে তোলেন বিভিন্ন মৃত আত্মা, ডাইনি ও জম্বির মুখোশ দিয়ে।
নিজেরাও ফেইস পেইন্ট ও বডিপেইন্ট করেন প্রেতাত্মার মতো। গভীরভাবে স্মরণ করে ছেড়ে যাওয়া আত্মীয়, বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের কথা। তাদের বিশ্বাস, এ রাতে নিশ্চয়ই মৃত স্বজনদের আত্মা ফিরে আসবে পৃথিবীতে। হয়তোবা কড়া নাড়বে তাদের দ্বারে।
বর্তমানে দিনটি চিরাচরিত সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে শিল্পের মাঝেও। কারণ এদিন সব মুখোশ, ভাস্কর্য বা বডি পেইন্টের কাজগুলো সমগ্র বিশ্ব জুড়ে জুগিয়েছে বিপুল খ্যাতি। আর গল্পের শুরুটা এখানেই।
ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলসের মেকআপ আর্টিস্ট ক্রিস্টিয়ানা। গত বছর দিয়া দে লাস ম্যুয়ের্তাস উৎসবে তার সৃষ্টি অসাধারণ ভাস্কর্য দেখে প্রায় ভক্তই বনে গেলেন ক্যালিফোর্নিয়ার আলোকচিত্রী টিম টেডার। যেই ভাবা সেই কাজ।
টেডার ক্রিস্টিয়ানার করা মেকাপ আইডিয়া, ব্যাকগ্রাউন্ড পোট্রেট নিয়ে একটি ফটোসেশনের আয়োজন করেন। বিষয়বস্তু একই। দিয়া দে লাস ম্যুয়ের্তাস। এই ফটোসেশনে প্রাধান্য পেয়েছে মৃত্যু দেবী মিকতেকাচিহুয়াতল।
টেডার তার অসাধারণ ফটোগ্রাফির মাধ্যমে পাতালপুরীর এ দেবীকে পুনরায় যেন জীবিত করিয়েছেন। কথিত রয়েছে, এই দেবী সদ্যজাত শিশু থাকা অবস্থাতেই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
লস ম্যুয়ের্তাস সিরিজের ছবিগুলো শীত, বসন্ত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা, এই চারটি থিমে সাজানো হয়েছে। মডেলদের মেকআপ করেছেন ক্রিস্টিয়ানা নিজেই আর কাস্টিউম ডিজাইন করেছেন জুলিয়া রিজার। ছবির থিম বুঝে মডেলদের পোশাকের রঙ পরিবর্তন করা হয়েছে। ছবিগুলোতে দেখা যাবে, আনমনা মৃত্যুদেবী হেটে বেড়াচ্ছেন বিরান পাতালপুরীতে।
কখনও চেহারায় দেখা যাচ্ছে, অভিন্নতা, উৎসুক্য আবার কখনও চুপচাপ। এমনভাবে তিনি হেঁটে বেড়াচ্ছেন যে দেখে মনে হবে, এই অখণ্ড ভূমির একমাত্র রানি তিনি নিজেই!
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
এসএস