ঢাকা: শহরে বন নেই। নেই সেই সবুজ শীতল প্রকৃতি।
ইতালির মিলানে গড়ে উঠেছে ‘বসকো ভার্টিক্যাল’ নামে বহুতল একজোড়া ভবন। যেখানে দালান দুটি দাঁড়িয়ে রয়েছে শহরের মাটিতে। তবে সেখানে বিরাজ করছে বনের সবুজ প্রকৃতি। বসকো ভার্টিক্যাল দালান দুটিকে ভার্টিক্যাল ফরেস্ট বলা হয়। বলতে পারেন এটি এক শহুরে বন।
আবাসিক এই ভবন দুটি মিলানের পের্তা ন্যুভার মিলানো পোর্তা গ্যারিবল্ডি রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী ভায়া গ্যাটানো ডি ক্যাসটালিয়া ও ভায়া ফেদেরিকো কনফেলোনিয়ারির মধ্যবর্তীতে স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
মিলানের ভায়া ডি আইল্যান্ড ক্যাস্টিলিয়া ও কনফেলোনিয়ারির মধ্যবর্তী ঐতিহাসিক জেলার পুনরুন্নয়নের অংশ হিসেবে স্টিফেনো বোয়েরি, জায়ানান্দ্রে ব্যারিকা ও জিওভানি লা ভারা বসকো ভার্টিক্যাল ফরেস্ট প্রকল্পটি হাতে নেন।
২৬ তলা বিশিষ্ট বসকো ভার্টিক্যাল টাওয়ারের উচ্চতা প্রায় ৪শ’ ফুট ও ১৮ তলা বিশিষ্ট ছোট টাওয়ারটি উচ্চতায় প্রায় ২শ’ ৯০ ফুট । ভবন দু’টিতে মোট গাছ রয়েছে ৯শটি, লতাগুল্ম রয়েছে প্রায় ৪ হাজার, আঙ্গুরলতাসহ বহুবর্ষজীবী গাছ রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার। এসব গাছগুলোকে লাগানো হয়েছে ভবনের ঝুল বারান্দায়। বিশেষত্বের দিক থেকে ভবনে আরও রয়েছে ধূসর পানি পুনর্ব্যবহার ও সেচের ব্যবস্থা এবং ফটোভলটাইক সৌর কোষ।
যেহেতু পুরো ভবনের গা জুড়েই রয়েছে গাছ, তাই এখানে মানুষের পাশাপাশি অন্যতম বাসিন্দা হলো পাখি। দালানটির উদ্ভিদ ধারণ ক্ষমতা কতটুকু সে বিষয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরাও পুরোদস্তুর দালানটিকে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
প্রায় একশ’ প্রজাতির গাছ ও লতাগুল্ম এই ভবনটিকে ও ভবনের আশপাশের পরিবেশকে অন্য স্থান থেকে অনেকখানিই ব্যতিক্রম করে তুলেছে। এছাড়া প্রচুর গাছপালা থাকায় এখানকার পরিবেশ অনেক বেশি শীতল ও দুষণমুক্ত। গাছ কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে অক্সিজেন সরবরাহ করে। তাই বলা যায়, এখানকার পরিবেশ অনেক স্বাস্থ্যকর।
বসকো ভার্টিক্যালই বিশ্বের প্রথম ভার্টিক্যাল ফরেস্ট, অর্থাৎ লম্বালম্বিভাবে বিস্তৃত বন। শহরে প্রাকৃতিক, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ জীবনযাপনের সেরা উদাহরণ হিসেবে আধুনিক বনায়নের এই প্রকল্পটি কি যথেষ্ট নয়!
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৫
এএ