ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্ব মা দিবস

মায়ের পাশে থাকুন, সময় দিন

নাজমুল হাসান, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫
মায়ের পাশে থাকুন, সময় দিন

ঢাকা: কাছে-দূরে যেখানেই আমরা থাকি, নানা ব্যস্ততায় অনেক সময় ভুলে যাই মায়ের খোঁজ নিতে। যে মমতাময়ী মা নিজের শত দুঃখ-কষ্টের মাঝেও সন্তানকে পরম আদরে মানুষ করেছেন, আজ সেই মানুষটিরই খোঁজ নিতে পারছি না আমরা!

কাজের মাঝে একটু সুযোগ খুঁজে নিন।

মায়ের পাশে থেকে, ছোট-ছোট কিছু চাওয়া পূরণ করে তার জন্য আনন্দময় করে তুলতে পারেন একটি দিন।  

১০ মে বিশ্ব মা দিবস। এ বিশেষ দিনে মায়ের পাশে থেকে তাকে সময় দিতে পারেন। দামি উপহার অথবা রেস্তোরাঁয় খাওয়াতে হবে এমন কোনো কথা নেই। মায়ের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন তার ইচ্ছেগুলো। অথবা কী করলে মা বেশি খুশি হবেন, সে বিষয়গুলো জেনে মাকে এই বিশেষ দিনে চমকে দিতে পারেন।

যে মায়েরা কর্মজীবী নন, অথবা সামান্য অসুস্থ, বাড়িতে দিনের পর দিন থাকতে থাকতে নিশ্চয় ক্লান্তি আর একঘেয়ে লাগে তাদের। মা দিবসে আপনি তার পছন্দের কোনো জায়গা ঘুরিয়ে আনতে পারেন। এছাড়া মনোরম কোনো পরিবেশে নিয়ে যেতে পারেন। সেখানে বসে কিছুটা সময় কাটালে সতেজতা আর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। সময় স্বল্পতা থাকলে আপনার শহরের মধ্যেই কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী ফারিহা মৌ মনে করেন, মায়ের ছোট-ছোট চাওয়াগুলো, যা দেখলে তিনি খুশি হন, এমন কিছু করতে পারলে হয়তো অনেক আনন্দিত হবেন। আমি নিজের কিছু জমানো টাকা দিয়ে মায়ের জন্য একটি উপহার কিনে রেখেছি।

ফারিহা মৌর পাশে থাকা অপর এক বন্ধু দীপ্তও বললেন তার শখের কথা, আমি কয়েকটি টিউশন পড়াই। কয়েকদিন আগে বেতন পেলাম। বেতনের কিছু টাকা দিয়ে মায়ের জন্য একটি শাড়ি কিনেছি। মাকে কোনোদিন তেমন কিছু দিইনি। উপহার পেয়ে মা খুব খুশি হবেন।

এছাড়া মা দিবসে চাইলে মাকে নিয়ে কেনাকাটায় যেতে পারেন। তাকে সঙ্গে নিয়েই কিনে দিতে পারেন তার পছন্দের কোনো জিনিস। এ বিশেষ দিবসকে সামনে রেখে বিভিন্ন শপিং মলে কেনাকাটার উপর বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে সেখানে যেতে পারেন।

এর বাইরে ঘরোয়া পরিবেশে মায়ের জন্য তৈরি করতে পারেন আনন্দঘন এক মুহূর্ত। পরিবারের সবাই মিলে মাকে চমকে দিতে আত্মীয়-স্বজনসহ কাছের মানুষদের নিমন্ত্রণ জানাতে পারেন। চাইলে মাকে রান্না করে খাওয়ানোর জন্য নিজেই হয়ে যান রাঁধুনি।

ঠিক এরকমই প্লান বেক্সিমকোর মেডিকেল প্রমোশন এক্সিকিউটিভ  মামুন মোল্লার, আমাদের পরিবারে মা-বাবা আর আমরা দুই ভাই। কাজের সুবাদে আমরা দুই ভাই মা-বাবা থেকে দূরে থাকি। কিন্তু এই মা দিবসে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি তাদের সময় দেওয়ার জন্য। দু’ভাই মিলে কাছের আত্মীয়-স্বজনকে বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ওই দিন সবাই মিলে একসঙ্গে বাসায় হাজির হবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫
এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।