রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন- এই প্রবাদটি জানেন না এমন মানুষ খুব কম আছেন এ ধরাতে। তবুও রেগে যাই, ক্ষেপে গিয়ে বড় বড় বিপদ ডেকে আনি।
বড় বড় করে তিনটি দম নিন
খুবই গভীর থেকে দম (deep breath) নিলে আপনার মানসিক চাপ কমবে। দীর্ঘশ্বাস ক্ষোভ ও মানসিক যাতনা কমাতে ব্যাপক সাহায্য করে। শরীরে প্রশান্তি চলে আসবে। দেখবেন, নিজের ভেতরের জমানো ক্ষোভও চলে যাবে, মনের অস্থিরতা থাকবে না। ক্রমাগত রাগ, ক্রোধ দমনে এমনটি আপনি করে দেখতে পারেন।
বালিশে ঘুসি মারবেন না
রাগ কমাতে অনেক সময়ে আমরা বালিশে ঘুসি মারি। আবার কখনো শক্ত জিনিসের ওপর লাথি মেরে বসি। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা গেছে, কোনো কিছুতে আঘাত করলে রাগ প্রশমন না হয়ে বরং তা আরও বেড়ে যায়। আর আপনার ক্রোধ বাড়লে শত্রুতাও দ্বিগুণ হবে।
মেজাজ হারালেন, সব হারালেন
মেজাজ হারিয়ে ফেললে আপনাকে দেখতে সিনেমার ভিলেনের মতো লাগবে। কেউ চায় না অযাচিত ভিলেন হতে। কথা হলো ভুল, অপরাধ বা দোষ-ত্রুটি যেই করুক, মেজাজ গরম করলে বিপরীতে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই মেজাজ শীতল রাখতে হবে। নিজের ক্রুদ্ধ অবস্থার একটি দৃশ্যের ভিডিও করে দেখতে পারেন। দেখবেন, মেজাজ হারিয়ে একটি সহজ বিষয়েরও মোকাবেলা কত জটিলভাবে করছেন। কাজেই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে ধৈর্য না হারিয়ে সুরাহার পথ খুঁজুন।
মনের ভেতরে লাল রঙের ‘থামাও’ চিহ্ন বসান
সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজগুলোতে আমরা ট্রাফিক পুলিশের লাল রঙের স্টপ বা ‘থামাও’ চিহ্নটি দেখতে পাই। চলন্ত গাড়ি সম্পর্কে সন্দেহ হলে সেটি থামাতেও এই চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এরপর গাড়িতে তল্লাসি চালানো হয়। বেতাল কিছু দেখে আপনি রেগে গেলে মনের ভেতরে একটি ‘থামাও’ চিহ্ন কল্পনা করুন। এরপর রাগ থামিয়ে সেটির সুরাহা কীভাবে সম্ভব, তা ভাবুন।
এছাড়া কব্জিতে একটি রাবার ব্যান্ড বা বন্ধনী বেঁধে নিতে পারেন। যখন দেখবেন কোনো কিছুতে আপনার মগজ গরম হতে শুরু করেছে, তখন সেটি আঁকড়ে ধরুন। এরপর মিনিট কয়েক সময় নিয়ে ক্রোধ থামাতে লাল চিহ্নটি মাথায় নিয়ে আসুন। দেখবেন, আপনার রাগ দমে গেছে। ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়া তখন আরও সহজ হবে।
পাগলামিকে না বলে কাজে ব্যস্ত হোন
রাগের মাথায় ভয়ঙ্কর কিছু করে বসতে পারেন। ভয়ঙ্কর কিছু বলতে এক কথায় পাগলামি। এতে আপনার বিপদ বাড়বে বটে। এর চেয়ে বাইকে চড়ে দূরে কোথাও চলে যান। বিশেষভাবে প্রকৃতির প্রশান্তি আছে এমন কোথাও। যেখানে গেলে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে পারবেন। অথবা বাড়ির বাগানের আগাছার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। এতে আপনার মনের ঝালও মিটবে, আগাছাও সাফ হবে। এছাড়াও পছন্দসই বিভিন্ন তৎপরতায় জড়িয়ে রাগ কমানো যেতে পারে।
পছন্দের গান বাজান
কারও কর্মকাণ্ড দেখে হঠাৎ বিরক্ত হয়ে গেলেন। ক্রোধ দমিয়ে রাখতে পারছেন না। এক্ষেত্রে নিজের ভালোলাগাকে ফিরিয়ে আনতে খুবই জোরে পছন্দের গান বাজাতে পারেন। রাগ দমন করতে এটি আপনাকে বেশ সাহায্য করবে। মন আনন্দে নেচে উঠবে। নিজের অজান্তেই মন থেকে রাগ উধাও হয়ে যাবে।
রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
এএ