ঢাকা: সময় এখন স্মার্টফোনের। বর্তমানে বলতে গেলে সবার মুঠোতেই শোভা পাচ্ছে স্মার্টফোন।
এ যুগে স্মার্টফোনই যেন মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোনোর আগ পর্যন্ত, এমনকি এক ঘুম দিয়ে ওঠার পরও সব বিনোদন ও কাজের সঙ্গী এটি। হৃৎপিণ্ড ছাড়া যেমন মানুষ অচল, তেমনি বর্তমান সময়ে মানুষ যেন স্মার্টফোন ছাড়াও অচল। মানুষের জীবনে স্মার্টফোনের প্রভাব নিয়েই এবারের ধারাবাহিক আয়োজন। প্রথম পর্বের ছবিগুলো দেখে নিন।
সাগরপাড়ে রৌদ্রস্নানের সময় ফেসবুক বা টুইটার। সারা গা রোদে জ্বলে শেষ। শুধু রয়ে গেছে ফোনের ছায়াটুকু।
কথায় বলে, ঊর্ধ্বমুখে পথ চলিও না। তবে এখনকার দিনে মানুষ ঊর্ধ্বমুখে পথ না চললেও, ফোন টিপতে টিপতে পথ চলে সবাই। এজন্য বিপদ এড়াতে কিছুদিন পর সবার অন্ধদের মতো ওয়াকিং স্টিক ব্যবহার করতে হবে!
ল্যাপটপে ফেসবুক, টুইটার আর ইন্টারনেট ব্রাউজিং। ওমা! অনেক রাত হয়ে গেছে ভেবে সব ফেলে ঘুমাতে গিয়েও স্মার্টফোনে পরবর্তী আপডেট চেক করে নেওয়া। এভাবে রাতের এক-তৃতীয়াংশও শেষ।
ফুটবল ম্যাচ দেখতে এসেও সবাই যে যার স্ট্যাটাস দিতে ব্যস্ত, ‘এনজয়িং ফুটবল ম্যাচ’। সঙ্গে সঙ্গে শত শত কমেন্ট আর সেগুলোর উত্তর দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়া। বেচারা ফুটবলার আর কী করবে, খেলা যে কেউই দেখছে না!
স্মার্টফোনের এ যুগে যদি রূপকথার সেই ডাইনি বুড়ি থাকতো, তাহলে তার জাদুমন্ত্র, ‘মিরর মিরর অন দ্য ওয়াল, হু ইজ দ্য ফেয়ারেস্ট অব দেম অল’ এর পরিবর্তে বলতো, ‘স্মার্টফোট স্মার্টফোন অন দ্য স্টিক, হু হ্যাজ দ্য ফেয়ারেস্ট প্রোফাইল পিক!’
আগে মানুষের কাজে ব্যবহৃত হতো ফোন। আর এখন? দিনে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের নোটিফিকেশন এত পরিমাণে আসে, যেন ফোনই সবসময় মানুষকে কাজের উপর রাখছে।
স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে মুঠোফোন থেকে ফেসবুক আপডেট চেক করলেন। অফিস যাবার পথে পুরো সময়টাও টুইটারে ব্যস্ত থাকলেন। বাড়ি ফিরে রান্নার সময় স্ট্যাটাস আপডেটে ব্যস্ত। রাতে ঘুমানোর সময় প্রোফাইল পিকচার আপলোড। কিন্তু যখনই স্বামী কম্পিউটারে গেমস নিয়ে বসলেন, তখনই স্ত্রী চেঁচিয়ে উঠলেন, তুমি আবারও গেমস নিয়ে বসেছ! এটা সত্যিই তোমার নেশাতে পরিণত হয়েছে! অতঃপর স্বামী নির্বাক।
প্রেমিক-প্রেমিকা দু’জনই পাখির কলকাকলিতে মগ্ন। একজন বনের পাখির গান শুনছেন, অন্যজন মগ্ন টুইটারের পাখিতে।
ছবি: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৫
এসএস