ঢাকা: দূরে আবছা নীল পাহাড়। দিনের আলো নিভু নিভু।
কার শক্তি বেশি? ‘তোমার নাকি আমার?’
বলছি মধ্য আমেরিকার কোস্টারিকার হেসিয়েন্ডা সোলমিনার লজের একটি গল্প। সময়টা চলতি বছরের এপ্রিল।
এই লজের প্রাণীরা বরাবরই নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে মেতে ওঠে লড়াইয়ে। তবে এবারের যুদ্ধের কারণ, নিজে পালের নারী সদস্যের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে অন্য এক ষাঁড়। এটা তো মেনে নেওয়ার মতো কথা নয়! এর পাল্টা জবাব তো দিতেই হবে। শুরু হলো যুদ্ধ।
দুটো ষাঁড়ই এগিয়ে এলো। মাথা দিয়ে অনবরত গুঁতো দিতে লাগলো একে অপরকে। এক পর্যায়ে ষাঁড়টি নুইয়ে দিলো অপরাধীর মাথা। নুইয়ে পড়া ষাঁড়টি উঠে দাঁড়াতেই রক্ষাকর্তা ষাঁড়টি সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো তার ওপর। টানা পাঁচ মিনিট ধরে চললো লড়াই।
অতঃপর জিতলো রক্ষাকর্তা ষাঁড়টি। শুধু তাই-ই নয়, ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়েও দিলো। জয়যুক্ত হয়ে ফিরে যেতে লাগলো নিজ স্থানে।
এই পুরো ঘটনাটি আড়াল থেকে ক্যামেরাবন্দি করেন ফরাসি বন্যপ্রাণি আলোকচিত্রী ক্রিস্টোফ কোর্টে। ঘটনাস্থলের বিশ মিটার দূরে থেকে লড়াইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছবি তোলেন তিনি।
৪৬ বছর বয়সী ক্রিস্টোফ জানান, আমরা জলজ পাখি সমৃদ্ধ পুরো রিজার্ভটি ঘুরে দেখছিলাম। আর আচমকা গোধূলি বেলায় দু’টি ষাঁড় লড়াইয়ে মেতে ওঠে। যখন তাদের দিকে চোখ পড়েছে, ততক্ষণে তারা মাথায় মাথা ঠেকিয়ে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল।
ক্রিস্টোফ আরও জানান, এত দূর থেকে ছবি তোলার কারণ, একবার যদি কারো উপস্থিতি এরা টের পেত তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারতো।
নিজের অঞ্চল ও সঙ্গিনীদের রক্ষা করতে এই শক্তিশালী দু’টি প্রাণীর লড়াই দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান এই আলোকচিত্রী।
ইন্টারনেট থেকে
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
এএ